ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই আইন অনুযায়ী অস্বাভাবিক যৌনতা অপরাধ। এই ধারা খারিজ করা দাবিতে ফের মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই মামলাটি শুনেছে। এই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আছেন বিচারপতি আর এফ নরিমান, এ এম খানউইলকার, ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং ইন্দু মালহোত্রা। জুলাই থেকে শুরু হয়েছে বিচার প্রক্রিয়া । আবেদনকারীরা ব্যক্তিগত অধিকারের পক্ষে সওয়াল করেছেন।
advertisement
৩৭৭ ধারা (Section 377) অনুযায়ী অস্বাভাবিক যৌনতা অপরাধ। সমকামিতাকে এরই অংশ হিসেবে ধরা হয়। সমকামও অপরাধ ছিল। ১৮৬১ সালের আইন অনুযায়ী এই অপরাধে ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারত। কিন্তু এখন আর তা কার্যকর রইল না। সমকামীদের দাবি এই ধারা প্রয়োগ করে তাঁদের হেনস্থা করা হয়। মামলার আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল পাঁচ জন। এই পাঁচ জন হলেন ভারতনাট্যম শিল্পী নভতেজ সিং জোহার, সাংবাদিক সুনীল মেহেরা, রিতু ডালমিয়া, হোটেল ব্যবসায়ী অমন নাথ এবং আয়েশা কুমার।
শুনানিতে আবেদনকারীদের দাবি ছিল ৩৭৭ ধারা ( Section 377) সংবিধানের মূল ধারার বিরোধী। এরকম একটা ধারা বলবত থাকলে সাম্যের অধিকার লঙ্ঘিত হয়, সুবিচার পাওয়ার আশাও থাকে না। তাছাড়া সংবিধান কোনও রকম বৈষম্যকে স্বীকার করে না। শুনানির সময় বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা জানান, পরিবার এবং সমাজের চাপে এ ধরনের মানুষদের অন্য লিঙ্গের সঙ্গে বিয়ে করতে হয় তাতে নানা রকম জটিলতা তৈরি হয়। সুপ্রিম কোর্টের এই যুগান্তকারী রায়ের পরই মুক্তির ফুরফুরে বাতাস ঢুকতে শুরু করে এ দেশে ৷ শুরু হয় নব অধ্যায় ৷