আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এই ছয়জনের মধ্যে ৩ সদস্যের সিট এবং ৩ সদস্যের টেকনিক্যাল কমিটি থাকথে। সিটের শীর্ষে থাকছেন প্রাক্তন বিচারপতি।
তিন সদস্যের টেকনিক্যাল কমিটিতে থাকছেন ডক্টর নবীন কুমার চৌধুরী। নবীন কুমার চৌধুরী সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ। থাকছেন ডক্টর প্রভাকরণ পি। তিনি অমৃতা বিশ্ব বিদ্যাপীঠম স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (কেরল) অধ্যাপক। থাকছেন ডক্টর অশ্বিন অনিল গোমস্তি। তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি মুম্বাইয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর।
advertisement
আদালত সূত্রে খবর এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন প্রাক্তন বিচারপতি আর ভি রবীন্দ্রন। সাইবার সুরক্ষা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা থাকবেন এই বিশেষজ্ঞদের কমিটি। সিটে প্রাক্তন বিচারপতি ছাড়াও থাকছেন, থাকছেন অলোক গোস্বামী (প্রাক্তন আইপিএস অফিসার) ও ডক্টর সন্দীপ ওবেরয়।
প্রধান বিচারপতি এনভি রামন এ দিন সিট গঠনের রায় ঘোষণার সময় স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন আদালতে চার্জশিট গঠন করা হবে। এই মামলা কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও স্পষ্ট অবস্থান এখনও জানা যায়নি। আদালত মনে করছে ব্যক্তিগত পরিসরে আঁড়িপাতার তদন্ত হওয়া উচিত জানান প্রধান বিচারপতি। কেন্দ্রীয় সরকারের অস্পষ্ট অবস্থানের কারণেই এই কমিটি গঠন, বলছেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন- রাজ্যে নিষিদ্ধ গুটখা-তামাকজাত পানমশলার বিক্রি, কড়া পদক্ষেপ নবান্নের
এদিন বিচারপতি এনভি রামন বলেন, "কয়েকজন মামলাকারী পেগাসাস কাণ্ডে স্বতন্ত্র তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন। আমরা মনে করি, প্রযুক্তির ব্যবহার জীবনযাপন সুন্দর করে তোলার অস্ত্র। ব্যক্তিগত গোপনীয়তার উপর যে কোন আক্রমণ অনুচিত। সাংবিধানিক বৈধতা সর্বোপরি।"
এনভি রামনের ব্যখ্যায়, "আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছিলাম। সলিসিটর জানিয়েছেন, বহু অভিযোগ মনগড়া।"
সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টই বলছে গণতন্ত্রে নাগরিকের উপর নজরদারির কোনও জায়গা থাকতে পারে না। এতে বক্তব্যের স্বাধীনতায় আঘাত তো লাগেই, গণতন্ত্রের প্রধান স্তম্ভ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও খর্ব হয়।
সুপ্রিম কোর্ট মনে করছে পেগাসাসের অভিযোগে ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকারের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ রয়েছে কোনও বিদেশী সংস্থার যুক্ত থাকারও। কাজেই জনস্বার্থেই এই বিষয়গুলি নিয়ে স্বাধীন তদন্ত হওয়া জরুরি।