অন্যদিকে বিরোধী শিবিরের যাঁরা ভোটাভুটির আগে থেকেই যেভাবে তাঁদের জয় নিশ্চিত ভেবে লাফালাফি করছিলেন, তাঁরা এখন নীরব। সেই সঙ্গে ১৫টি ভোট কীভাবে এনডিএ প্রার্থীর ঝুলিতে গেল, সেটা নিয়েই এখন তাঁরা বিশেষ চিন্তিত। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বুধবার বলেন, ‘জয় তো নিশ্চিত ছিলই। যাঁর জেতার কথা, সেই জিতেছে। এর অন্যথা হয়নি। নয়া উপ-রাষ্ট্রপতি সিপি রাধাকৃষ্ণণ আগামীদিনে বিকশিত ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হতে চলেছেন। আর বিরোধীরাও জানতেন যে তাঁদের প্রার্থী হারবেন। আসলে ওঁদের হারতে মজা লাগে, ওঁরা এতেই খুশি। ২৪-এর নির্বাচনেও এনডিএ-এর কাছে হেরে রাহুল গান্ধী খুশি হয়েছিলেন। এবারেও হয়েছেন। আগামীদিনেও নির্বাচনে হেরে খুশি থাকবেন।’
advertisement
উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণণ পেয়েছন ৪৫২টি ভোট এবং ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী সুদর্শন রে়ড্ডি পেয়েছেন ৩০০টি ভোট। এই নির্বাচনে ভোট দেওয়া অধিকার ছিল শুধুমাত্র লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদদের। ফলে সাংসদ সংখ্যার নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী আগে থেকেই এগিয়ে ছিল। মূলত ৭৮১ জন সাংসদমণ্ডলীদের নিয়ে এই নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু আগে থেকেই শাসক, বিরোধী শিবিরের বেশ কয়েকজন শরিক দলের সাংসদরা কোনও না কোনও কারণে নির্বাচনে অংশ নেননি। যার ফলে মোট ভোট পড়েছে ৭৬৭টি। জয়ের জন্য ন্য়ূনতম সংখ্যা ছিল ৩৮৪।