আগামী সোমবার পর্যন্ত বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার গুজরাতে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করবেন। বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘গুজরাতে প্রচুর বাঙালি থাকেন। বাংলার বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে তাদের ঠিকানা এখন গুজরাত। তাই তাদের কথা ভেবেই সুকান্ত মজুমদাররা সেই সমস্ত এ রাজ্যের মানুষদের সামনে সভা-সহ নানান প্রচার কর্মসূচিতে বাংলা আবেগ তুলে ধরতেই বাংলার বিজেপি নেতৃত্বকে প্রচারে কাজে লাগানোর লক্ষ্যেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে ডাক পড়েছে বাংলা পদ্ম ব্রিগেডের।’’
advertisement
আরও পড়ুন- কয়লা দুর্নীতির হাজার কোটি গিয়েছে 'প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা'-র কাছে, দাবি শুভেন্দুর
আর দিন কয়েক পরেই গুজরাতে বিধানসভা ভোট। গুজরাতে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া পদ্ম শিবির। উল্টোদিকে, কংগ্রেসের কোমর ভেঙে মোদি-রাজ্যে চমক দিতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি। গুজরাতে বিজেপিকে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলবেন বলে সভা-মিছিলে দাবি করছেন কেজরিওয়াল। স্বাভাবিক কারণেই বিজেপিও বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে। গোটা রাজ্যজুড়ে প্রচারে শান দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দলীয় নেতা-নেত্রীদের গুজরাতে তুলে আনা হচ্ছে। বাংলার বিজেপি নেতাদের একাংশকেও তাই মোদি-রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ রাজ্যের নেতারা দিয়ে গুজরাতে বাংলার পরিস্থিতি তুলে ধরে বিজেপির ক্ষমতায় থাকার প্রয়োজনীয়তা ও সুফলের বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
প্রসঙ্গত, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস হামেশাই গুজরাতের প্রসঙ্গ টেনে নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ায়। উন্নয়ন কাকে বলে, গুজরাত মডেলের উদাহরণ টেনে বাংলায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়াতে দেখা যায় বাংলার পদ্ম শিবিরকে। গুজরাতের ভোট প্রচারে বাংলার পদ্ম নেতারা। আজ ১৯ নভেম্বর থেকে ২১ শে নভেম্বর পর্যন্ত মোদি-শাহের রাজ্য প্রচার করবেন বাংলার পদ্ম শিবিরের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যেই বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলার বিজেপির প্রমিলা বাহিনীকেও। মালদহের ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে আসন্ন গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে সেন্ট্রাল জোনের কো-ইনচার্জ করেছে গেরুয়া শিবির। দলের মহিলা মোর্চার নেত্রী হিসেবে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শ্রীরূপাকে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।