দলীয় সূত্র জানাচ্ছে, আলোচনার মূল বিষয় ছিল দলের ভাঙন রোধ, আসন্ন পুরভোটে প্রার্থী নির্বাচনের কৌশল এবং রাজ্য বিজেপি’র সাংগঠনিক রদবদল। যদিও সুকান্ত ঘনিষ্ঠমহলে বলেছেন, সিকিম নিয়ে রণকৌশল তৈরি করতেই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও সময় মেলেনি। এদিন সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা দলের প্রাক্তন সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, শাহকে দলের পশ্চিমবঙ্গ শাখার ভালো-মন্দ দিকগুলি ব্যাখ্যা করেছেন সুকান্ত। তবে, রাজ্যে যে ভাবে একের পর এক নেতা বিজেপি ছেনে তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন, তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন শাহ। দলের কয়েকজন নেতার মন্তব্য দলের ক্ষতি করছে বলেও সুকান্তকে জানিয়েছেন শাহ।
advertisement
অন্যদিকে, ফের বঙ্গ বিজেপিতে ভাঙন জল্পনা দেখা দিয়েছে। নাম উঠে এসেছে প্রবীর ঘোষালের। তৃণমূলের মুখপাত্র জাগো বাংলায় বিজেপি নেতা প্রবীর ঘোষাল লিখেছেন, ''বিজেপিতে কাজ করার থেকে টাকা চাওয়ার লোক বেশি!'' বিজেপি নেতা হওয়া সত্বেও যেভাবে নিজের দলকে আক্রমণ করেছেন, তাতে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজধানী দিল্লিতে প্রশ্নের জবাবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ''বহু দিন থেকে ওঁর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই। উনি দলে আছেন বলে মনে হয়না। শারীরিক ভাবে হয়তো দলে আছেন, মানসিক ভাবে তিনি নেই। ওঁর যাওয়া আসা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।'' প্রসঙ্গত, বাংলায় দলের সাংগঠনিক রদবদল সহ নানা বিষয় নিয়ে বৈঠক করতে দিল্লিতে গিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন প্রবীর। যার হাত ধরে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন, সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই তৃণমূলে ফিরেছেন।
আরও পড়ুন: BSF-এর সীমা বৃদ্ধিতে ফের প্রকাশ্যে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত! ফুঁসে উঠছে তৃণমূল
৩১ অক্টোবর, ৯ মাস পর, তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তুলে নেন জোড়াফুলের পতাকা। এবার কি প্রবীর ঘোষালেরও তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে? বিজেপি নেতা প্রবীর ঘোষাল জানিয়েছেন, ‘মানসিকভাবে বিজেপিতে আমি নেই। তবে এখনই তৃণমূলে যাচ্ছি না। আপাতত লেখালিখি নিয়েই থাকতে চাই। সময় ও পরিস্থিতি বলবে কী সিদ্ধান্ত নেব। তবে আজকের খবরের কাগজ দেখে তৃণমূলের তরফে অনেকেই ফোন করেছেন।’ তৃণমূল মুখপাত্র জাগো বাংলা-য় বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পর তৃণমূলে তাঁর প্রত্যাবর্তনের জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি অভিনেত্রী শ্রাবন্তী বিজেপি ত্যাগের ঘোষণা করেন। বাবুল সুপ্রিয় আগেই দলত্যাগ করেছেন। একের পর এক নেতা দল ছাড়ায় কার্যত দিশেহারা অবস্থা বঙ্গ বিজেপির।