ত্রিপুরার নতুন বিধানসভা গঠন হওয়ার সময় বিজেপি আইপিএফটি জোটের ৯ জন মন্ত্রী ক্যাবিনেটে গিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে কাউন্সিলে রয়েছেন ৮ জন মন্ত্রী। ২০১৯-এর মাঝে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মন-কে ক্যাবিনেট থেকে সরানো হয়েছিল। তাহলে কি ফের সুদীপ রায়বর্মনকেই মন্ত্রিত্ব দেয়া হবে, বিক্ষুব্ধ শিবিরকে খুশি করতেই কি বিজেপির এই সম্প্রসারণ নীতি, জল্পনা থাকছে এই সব প্রশ্ন নিয়েই।
advertisement
সূত্রের খবর, বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ ত্রিপুরায় এসে বিপ্লব দেবকে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের কথা বলেন। তিনি বলেন, সময় মতো মানুষদের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে পরিপূর্ণ মন্ত্রিসভা চাই। শোনা যাচ্ছে নাকি বিক্ষুব্ধ এমএলএ সুদীপ রায় বর্মন-কে মন্ত্রিসভায় পুনরায়অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বলেন তিনি। কিন্তু এ বিষয়ে বিপ্লব দেব কতটা রাজি হয়েছেন, তা জানা যায়নি। এ দিকে পর্যবেক্ষক অজয় জামওয়াল ত্রিপুরা ঘুরেই জে পি নাড্ডার কাছে দলের অন্দরের সমস্ত রিপোর্ট পৌঁছে দেন। তারপরেই সুদীপ রায়বর্মনের দিল্লি যাত্রা।
উল্লেখ্য অসম ঘুরে সুদীপ রায়বর্মন বুধবার দিল্লিতে পৌঁছন। যদিও তাঁর যুক্তি এই সফর পারিবারিক। তবে সূত্রের খবর, জে পি নাড্ডা সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। সেই সময়ে ত্রিপুরার ইনচার্জ বিনোদ সোনকারও উপস্থিত ছিলেন। এ দিকে বুধবার চার আইপিএফটি প্রতিনিধিও ত্রিপুরা পৌঁছন। জে পি নাড্ডার সঙ্গে ৪৫ মিনিট কথা হয় তাঁদের।
শোনা যাচ্ছে তাঁরাও মন্ত্রিসভায় আরও একজন মন্ত্রী চাইছেন। কাজেই এই নতুন সম্প্রসারণ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। বিক্ষুব্ধদের দলে রাখতে এরপর সুদীপ রায় বর্মন নাকি জনজাতির ভোট পেতে আইপিএফটি-র কাউকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তার উপর নির্ভর করছে অনেক রাজনৈতিক সমীকরণ।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালে বিধানসভা ভোটে বিজেপি ৩৬ টি আসন পেয়েছিল। আইপিএফটি ৮ টি আসন পেয়েছিল। বিরোধীরা সব মিলে ১৬ টি আসন পায়।