বিজেপি-র প্রাক্তন বিদ্রোহী বিধায়কের দাবি, ভোটের আগে হামলা, হুজ্জতি করে আসলে দলেরই বদনাম করেছেন৷ একইসাথে প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, "আমি একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করেছিলাম। যা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। আর সেটাই রাগের কারণ হয়ে যায় ওনার।" তবে এ দিন তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সুদীপ রায় বর্মণ বোঝাতে চেয়েছেন, তৃণমূল, সিপিএম নয়৷ আসলে ত্রিপুরায় বিজেপি-র প্রকৃত প্রতিপক্ষ হতে চলেছে কংগ্রেসই৷
advertisement
আরও পড়ুন: উঁচু জায়গা থেকে লাফ দেওয়ার স্বপ্ন বার বার দেখতে পান? এর অর্থ জানলে চমকে যাবেন!
আগরতলায় কংগ্রেস অফিসের সামনে রীতিমতো মঞ্চ বেঁধে বিপ্লব দেব সরকারের সমালোচনায় সরব হন সুদীপ রায় বর্মণ৷ তিনি বলেন, 'ইদানিংকালে যে ঘটনাগুলি রাজ্যবাসী চাক্ষুস করছেন,হামলা, হুজ্জতি, রাতের অন্ধকারে বাড়ি ঘর ভাঙা, প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো- এই ঘটনাগুলির আমরা তীব্র নিন্দা জানাই৷ ভারতীয় জনতা পার্টির মূল মন্ত্র ছিল সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস৷ এই দুই মূল মন্ত্রের কোনওটাই রাজ্যে বাস্তবায়িত হচ্ছে না৷ উন্নয়ন, বিশ্বাসের উপরে ভোট হলে এসব হামলা, হুজ্জতির প্রয়োজন ছিল না৷'বামেদের ও তৃণমূলের তরফে বার বারই ত্রিপুরা পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল৷ পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ মেনে নিয়েছেন সুদীপ রায় বর্মণও৷ যদিও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার নেপথ্যে অন্য অঙ্ক দেখছেন প্রাক্তন বিধায়ক৷ তাঁর দাবি, 'আমরা নিজেদের মূল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে চিনতে পারিনি৷ পুলিশ আজকে ঠুঁটো জগন্নাথ৷"
আরও পড়ুন: হুইলচেয়ারে বসা যুবতীকে ঢুকতে দিল না জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ, রাজধানীর ঘটনা ভাইরাল!
সুদীপ রায় বর্মণের সঙ্গে বিপ্লব দেবের সংঘাত অনেক দিনের৷ যে কারণে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে হয় সুদীপ রায় বর্মণকে৷ দলের শীর্ষ নেতৃত্বও সুদীপের বদলে বিপ্লব দেবের উপরেই আস্থা রাখে৷ যা সুদীপ রায় বর্মণের ক্ষোভ আরও বাড়িয়েছিল৷ যদিও সংঘাত চূড়ান্তে পৌঁছলেও এর আগে দল ছাড়েননি সুদীপ৷ এর আগেও বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন তিনি৷ বিধানসভা ভোটের এক বছর আগে সুদীপের কংগ্রেসে যোগ, ভোটের ময়দানে অন্য মাত্রা দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।