বাসমতি চালকে ২০ শতাংশ আমদানি শুল্কের বাইরে রাখা হয়েছে। অথচ কেন গোবিন্দভোগ চালের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না সে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, গোবিন্দভোগ চাল বাসমতি চালের থেকে কোনও অংশে কম নয়। অবিলম্বে গোবিন্দভোগ চালের ক্ষেত্রেই একই কর কাঠামো চালুর দাবি করেন তিনি।
একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যকে আর্থিকভাবে বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে লোকসভায় মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর মতে, স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত পূর্বাঞ্চল। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে রাজ্যের বকেয়া দ্রুত মেটানোর দাবি তোলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিগুলো প্রমাণ হিসেবে দেখান তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন : দার্জিলিঙে বৃষ্টি, সিকিমে তুষারপাতের সম্ভাবনা, কলকাতায় কবে ফিরবে ঠান্ডা, জানুন পূর্বাভাস
লোকসভায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যের বকেয়া আদায়ের দাবিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং এর সঙ্গে দেখা করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় প্রতিনিধি দল। তাঁদের আশ্বাস দেওয়ার পরেও টাকা মেটানো হয়নি। তাঁর বক্তব্যে সম্প্রতি গিরিরাজ সিং-এর সঙ্গে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন : বিজেপি-কে হারাতে বামেদের সঙ্গে জোট? নাকচ করে দিলেন ত্রিপুরা তৃণমূলের নতুন সভাপতি
আবার এ দিনই তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি যে পরিসংখ্যান দিয়েছেন তাতে দেখা গিয়েছে একশো দিনের কাজের মজুরি বাবদ কেন্দ্রের থেকে পশ্চিমবঙ্গের বকেয়ার পরিমাণ ২ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকার কিছু বেশি। বাংলার সবচেয়ে বেশি বকেয়া রয়েছে। মঙ্গলবার লোকসভায় বাজেটের অতিরিক্ত বরাদ্দ আলোচনায় একইভাবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ করেন সৌগত রায়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বাংলার প্রতি আরও বেশি উদার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।