সূত্রের খবর, সুদীপের থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন নবীন পট্টনায়েক। অন্যদিকে, সবচেয়ে বেশিদিন ধরে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য নবীন পট্টনায়েকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে দু' জনের মধ্যে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগে দিল্লি আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী এপ্রিলেই নয়াদিল্লিতে পা রাখতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন: 'আইনের শাসন নেই, রাজ ভবনে এসে আলোচনায় বসুন', দিল্লি থেকে ফিরে মমতাকে কড়া চিঠি ধনখড়ের
এবারের দিল্লি সফরে মূলত বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি-র প্রার্থী যাতে কোনওভাবেই জয়লাভ করতে না পারেন, সেদিকেই লক্ষ্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। এখন থেকেই তার তোড়জোড় শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলের নেতাদের চিঠি লেখার মধ্য দিয়ে তারই সলতে পাকানোর কাজ শুরু হল বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কোন পথে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠিতে পড়ল শোরগোল
অরবিন্দ কেজরীওয়াল, কেসিআর, স্ট্যালিনের মতো নেতাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ভাল। এর আগেরবার দিল্লি সফর শেষ করে মুম্বই গিয়ে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন তিনি। যদিও তাঁর শরীর অসুস্থ থাকায় আদিত্য ঠাকরের সঙ্গে কথা হয় মমতার। অর্থাৎ শিবসেনার সঙ্গেও সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর।
বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর মমতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খোদ উদ্ধব ঠাকরে। সিবিআই তদন্ত নিয়েও তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারের পাশে থেকেছে শিবসেনা। ফলে শিবসেনা, ডিএমকে, আম আদমি পার্টির সঙ্গে ভাল সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে নামার পরিকল্পনা শুরু করেছেন তৃণমূলনেত্রী। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গেও মমতার ভাল সম্পর্ক। নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গেও দৌত্য় শুরু হয়েছে বলে রাজনৈতিক সূত্রের খবর। এ দিন সুদীপ- নবীন সাক্ষাৎ তারই অঙ্গ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও পুরো সাক্ষাৎকেই সৌজন্যমূলক বলে দাবি করা হয়েছে দু তরফেই।