‘‘আজাদিকা অমৃত মহোৎসবের’’ লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ট্যুইটারে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী লেখেন "২০১৭ সালে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ২০২২ এর ১৫ আগস্টের মধ্যে, প্রতি বছর ২ কোটি চাকরি হবে, সবার জন্য ঘর, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ, বুলেট ট্রেন, এগুলো কি হয়েছে ? এবারের ১৫ আগস্টের ভাষণে কি প্রতিশ্রুতি দেবেন তিনি?"
আরও পড়ুন - Weather Update: ওড়িশার ওপর গভীর নিম্নচাপের কালো মেঘ, কী হবে কলকাতায়, লেটেস্ট ওয়েদার আপডেট
advertisement
তৃণমূলের তরফে ট্যুইট করে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে মোদি সরকার কতটা লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পেরেছে সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদির ভাষণের ভিডিও ট্যুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদি এই ভিডিওটি আসল, আপনার প্রতিশ্রুতি ভুয়ো। ২০১৬ সালে আপনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ২০২২ সালের স্বাধীনতা দিবসের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে। ২০২২ সালের মধ্যে আয় দ্বিগুণ করতে ২০১৫ থেকে প্রতি বছর কৃষকদের আয় ১০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রয়োজন। মুদ্রাস্ফীতির সময়ে এই বৃদ্ধির হার মাত্র ৩ শতাংশ।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ‘‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের’’ মধ্যে দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন - রবীন্দ্র গানের শতবর্ষে মাই স্ট্যাম্প প্রকাশ করে মুহূর্তকে আরও বিশেষ করে ধরে রাখার উদ্যোগ দেবজ্যোতি-জোনাকির
স্বাধীনতার ৭৫ বছরের জন্য বিশেষ লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০১৫ সালের বাজেট ভাষণ তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রয়াত অরুণ জেটলি ঘোষণা করেন,২০২২ সালের মধ্যে দেশের সমস্ত নাগরিকের মাথায় পাকা ছাদ, পানীয় জলের ব্যবস্থা, শহরাঞ্চলে ২ কোটি এবং গ্রামীণ এলাকায় ৪ কোটি বাড়ি হবে। প্রতিটি বাড়িতে ২৪ ঘণ্টার বিদ্যুৎ পরিষেবা, শৌচালয়, সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করার ঘোষণা করেছিলেন জেটলি।
আম জনতার যে সমস্ত মৌলিক প্রয়োজনীয়তা সেগুলি সবই পূরণ হবে ২০২২ সালের মধ্যে। এছাড়াও, গ্রামোন্নয়ন, নারী সুরক্ষা, থেকে শুরু করে পরিকাঠামোয় অনেক ঘোষণা করেছিলেন অরুণ জেটলি। সেবারের বাজটে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল, ১ লক্ষ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি। সড়ক খাতে জেটলির বরাদ্দ ছিল ১৪ হাজার ৩১ কোটি টাকা। কৃষি নিয়ে অনেক ঘোষণা হয়েছিল ২০১৫ সালে অমৃত মহোৎসবের সূচনা লগ্নের বাজেটে। সেচের জন্য প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চয়ি যোজনা প্রকল্পে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।
RAJIB CHAKRABORTY