এ রকমই একটি ঘটনা সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেছেন ওড়িশার এক আইপিএস অফিসার। অরুণ বোথরা নামে ওই আইপিএস অফিসার সম্প্রতি ট্যুইটারে কিছু টাকার ছবি পোস্ট করেন। ওই ছবির দিয়ে তিনি দাবি করেন, তাঁর পরিচিত এক স্কুল শিক্ষক ওই টাকার ছবি তাঁকে পাঠিয়েছেন। পরীক্ষার খাতা দেখতে গিয়ে তার ভিতর থেকে এই নোটগুলি পান ওই স্কুল শিক্ষক।
advertisement
ছবিতে বেশ কয়েকটি ১০০, ২০০ এবং ৫০০ টাকার নোট দেখা যাচ্ছে৷ অরুণ বোথরা নামে ওই আইপিএস অফিসার ট্যুইটারে লেখেন, ‘এক শিক্ষক এই ছবিগুলি পাঠালেন৷ বোর্ড পরীক্ষার খাতার মধ্যে কয়েকজন ছাত্র এই নোটগুলি রেখে দিয়েছিল৷ যাতে পরীক্ষক তাদের পাস মার্ক অন্তত দিয়ে দেন৷ এই ঘটনা আমাদের ছাত্র, শিক্ষক এবং গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার ছবিটা সামনে নিয়ে এল৷’
এ ভাবে খাতার ভিতরে টাকা রাখার ঘটনায় অবশ্য খুব একটা অবাক হননি কেউ কেউ৷ এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি যখন পরীক্ষার খাতা দেখতাম তখন অন্তত তিন বার এ ভাবেই উত্তরপত্রের মধ্যে টাকা পেয়েছি৷’
আর একজন লিখেছেন, ‘এই ঘটনা শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরেও গোটা সমাজের ছবিটা তুলে ধরে৷ ওরা জানে যে এই দেশে টাকার বিনিময়ে সবকিছুই পাওয়া সম্ভব৷ ওদের এই ধারণা যে ভুল, সেকথাও বলা যায় না৷’