অভিযোগকারিণী ছাত্রী জুবলি তামুলি বিশ্বনাথ ছড়িয়ালি থেকে তেজপুরের ওই কলেজে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা। ছাত্রীর দাবি, কলেজে ঢোকার সময় কোনও সমস্যা হয়নি। সমস্যার সূত্রপাত, পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময়। জুবলির দাবি, 'সমস্ত কাগজপত্র দেখে কলেজে ঢুকতে দেন কর্তৃপক্ষ। যখন আমি পরীক্ষাকেন্দ্রের দিকে হেঁটে যাচ্ছি, একজন অবসার্ভার আমাকে সেখানে অপেক্ষা করতে নির্দেশ দেন। বাকি পরীক্ষার্থীরা ততক্ষণে হলে পৌঁছে গিয়েছেন। আমার কাছে অ্যাডমিট কার্ড, আধার কার্ড, ফটোকপি সব ছিল। কিন্তু সেগুলি না দেখে তাঁরা বলেন, এই ছোট পোশাক পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা যাবে না।' (Assam Student in Shorts)
advertisement
জুবলির প্রশ্ন, 'আমি প্রশ্ন করি কেন, অ্যাডমিট কার্ডে তো এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া ছিল না। তাঁরা বলেন, এটা তোমার জানা উচিত। আমি কী ভাবে এটা জানব যেখানে অ্যাডমিট কার্ডে এমন কোনও কিছুই উল্লেখ করা নেই?' এর পর অবসার্ভারকে বাবার সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করেন ওই ছাত্রী। কিন্তু তিনি না বলেন। পরে বাবার সঙ্গে ছাত্রী নিজেই কথা বলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে বাবা দোকানে ছুটে যান প্যান্ট কিনে আনার জন্য। ক্লাসরুমে অপেক্ষা করার সময় অন্য দুই ছাত্রী জুবলিকে বলেন, পর্দা পেঁচিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে। সেই মতো পর্দা পায়ে পেঁচিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকেন ওই ছাত্রী।
আরও পড়ুন: শিক্ষকরা পরতে পারবেন না জিন্স-টি শার্ট, শিক্ষিকাদের জন্য টাইট পোশাকে নিষেধাজ্ঞা পাকিস্তানে
এই ঘটনার পর জুবলি জানিয়েছেন, এটি তাঁর জীবনের সবচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা। তাঁর বক্তব্য, এভাবে কোনও কলেজ মেয়েদের পোশাক পরার নিয়ম বেঁধে দিতে পারে না। জুবলির প্রশ্ন, 'ছোট পোশাক পরা কি অপরাধ? অনেক মেয়েই তো ছোট পোশাক পরেন। যদি সেই পোশাক পরা অপরাধ হয় তবে অ্যাডমিট কার্ডে তার উল্লেখ করা উচিত ছিল।' গিরিজানন্দ চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির প্রিন্সিপাল ডক্টর আবদুল বাকি আহমেদ বলেছেন, এই ঘটনার সময় তিনি কলেজে উপস্থিত ছিলেন না। পাশাপাশি, তাঁরা শুধুই ক্লাসরুম ও অন্য সহযোগিতা করেছেন পরীক্ষা করানোর জন্য। এই গোটা পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করেছে অসমের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।