পুলিশ জানিয়েছে যে স্কুলের অধ্যক্ষ শাবাবুল হাসানকে (৩৫) লাকরি এলাকায় সকাল ৮.৩০ মিনিটে একটি চলন্ত বাইক থেকে গুলি করা হয়। আগে পুলিশ সন্দেহ করেছিল যে ভাড়াটে শ্যুটাররা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে এবং সেদিকেই তদন্ত চলছে, কিন্তু যখন সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে নাবালিকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখন পুরো বিষয়টি উন্মোচিত হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : স্টেশনে ঘুরছিল বাবা-মেয়ে, আরপিএফের চাপে সুটকেস খুলতেই যা মিলল…
স্থানীয় পুলিশ জানায়, প্রায় ৪ মাস আগে লাকড়ির একটি বেসরকারি স্কুল শ্রীসাই পাবলিক স্কুলে এক ছাত্র আত্মহত্যা করে এবং এ ঘটনায় পরিবারের লোকজন অধ্যক্ষ শাবাবুল আলমকে অভিযুক্ত করেছিল। তিনি মাঝোলা থানায় একটি মামলাও করেছেন। শাবাবুল হাসানকে যখন খুন করা হয়, তখন মানুষের মনে পড়ে একই স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনা। পুলিশের সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল স্কুলের অধ্যক্ষকে কে এবং কেন খুন করেছে? এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও দেখার পর এ ঘটনায় বন্দুকধারীদের সহায়তা নেওয়ারও আশঙ্কা ছিল। চলন্ত বাইক থেকে পায়ে হেঁটে যাওয়া স্কুলের অধ্যক্ষের মাথায় গুলি করা হয়।
এই ঘটনায় একাধিক টিম মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এতে নাবালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে প্রথম প্রশ্নের এমন উত্তর দেন যে পুলিশ হতবাক হয়ে যায়। সে জানায়, হ্যাঁ সেই খুন করেছে, কারন ওই টিচারকে মরতেই হত।
আরও পড়ুন : রাতে ঘুম ভাঙল মায়ের, বিবাহিত মেয়ের ঘরে উঁকি দিতেই সর্বনাশ! এ কী হল…
অভিযুক্তের বিষয়ে পরিদর্শক মোহিত চৌধুরী বলেন, অভিযুক্ত দশম শ্রেণির ছাত্র। কয়েক মাস আগে তার ভাই প্রিন্স আত্মহত্যা করেছে এবং এর পেছনে শাবাবুল হাসানের নির্যাতনকে কারণ হিসেবে ধরা হয়েছে। এর পর অভিযুক্তের মা বারবার তার ছেলেদের কাছে প্রশ্ন করে, তারা কি তাদের ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেবে না? পুলিশ কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্ত মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। অভিযুক্তের বাবা কর্ণাটকের জেলে বন্দী এবং মাদক চোরাচালানের অভিযোগে অভিযুক্ত।