জয়পুর: দিল্লির পথকুকুরদের নিয়ে রায় বদল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগে দুই বিচারপতির বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা স্থগিত রাখা হয়েছে। পরিবর্তে পথকুকুরদের বন্ধ্যাত্বকরণে জোর দিয়েছে আদালত। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, পথকুকুরদের দিল্লির রাস্তা থেকে নির্দিষ্ট আশ্রয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে সঠিক পদ্ধতিতে বন্ধ্যাত্বকরণ এবং প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ করতে হবে। তার পর আবার যেখান থেকে কুকুরদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানে ফিরিয়ে দিয়ে যেতে হবে।
advertisement
আর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার বাস্তবায়নে দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য হিসাবে উদ্যোগ নিল রাজস্থান। রাজ্য প্রশাসনের তরফে এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এবার সব পৌরনিগম, কাউন্সিল এবং পৌরসভাগুলি মালিকানাহীন পথপ্রাণীদের (যার মধ্যে কুকুরও রয়েছে) ক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন ২০২৩ কঠোরভাবে মেনে চলবে। এবার থেকে এই আইন রাজ্যজুড়ে বাধ্যতামূলক করা হবে।
প্রশাসনের তরফে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী এখন থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে কুকুরদের খাওয়ানোর স্থান চিহ্নিত করা হবে। পাশাপাশি পৌরসভাগুলিকে আবাসিক কল্যাণ সমিতি এবং প্রাণী কল্যাণ সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে। এমনকী জলাতঙ্কের ঝুঁকি রয়েছে এমন পথকুকুরদের ক্ষেত্রেও খাওয়ানোর জায়গাগুলিতে খাবার এবং জলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
তবে সুপ্রিম কোর্টের তরফে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমের কথা বলেছে আদালত। যে সমস্ত কুকুর র্যাবিস আক্রান্ত বা আগ্রাসী স্বভাবের, তাদের আশ্রয়কেন্দ্রেই রেখে দিতে হবে। আর রাস্তায় ফেরানো যাবে না। এ ছাড়া, আদালত রাস্তায় প্রকাশ্যে কুকুরদের খাওয়ানোর অনুমতি দেয়নি। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সন্দীপ মেহতা এবং বিচারপতি এনবি অঞ্জারিয়ার বেঞ্চে দিল্লির পথকুকুর সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়েছে।
এর আগে দুই সদস্যের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, দিল্লির রাস্তা থেকে সমস্ত পথকুকুরকে সরিয়ে দিতে হবে। তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে রাখা হবে। পশুপ্রেমী এবং পশুকল্যাণ সংগঠন, বিভিন্ন এনজিও এই রায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বেঞ্চ বদল করে দেন। শুক্রবার সেই নতুন বেঞ্চ রায় শোনায়। এবার সেই নির্দেশ মেনে বড় পদক্ষেপের পথে রাজস্থান সরকার।