তাঁর কথায়, 'আমি সিএএ-কে সমর্থন করি৷ কেউ কেউ না বুঝেই বিরোধিতা করছে৷ সবচেয়ে আশ্চর্যজনক হল, কংগ্রেস বুঝতেই চাইছে না৷ সিপিআই, সিপিআইএম-ও বুঝতে চাইছে না৷ সিএএ কোনও ভারতীয় নাগরিকের উপর লাগু হবে না৷ কাউকে নাগরিকত্ব দেবে না, কারও থেকে নাগরিকত্ব ছিনিয়েও নেবে না৷ উগান্ডা থেকে আগত হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধি৷ শ্রীলঙ্কা থেকে আসা তামিলদেরও নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন রাজীব গান্ধি৷ ওই একই কাজ প্রধানমন্ত্রী মোদিও করছেন, তা কেন খারাপ, বুঝতে পারছি না৷'
advertisement
এরপরই সংসদের প্রসঙ্গ তুলে আইনমন্ত্রী বলেন, 'নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আইন পাস হয়েছে সংসদে৷ কোনও রাজ্যের বিধানসভায় নয়৷ কোনও রাজ্য এই আইন রুখতে পারে না৷'
প্রসঙ্গত, কেরল বিধানসভায় একটি রেজোলিউশন পাস হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, সংশোধিত নাগরকিত্ব আইন বাতিল করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে৷
দেশজুড়েই এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে৷ ৬০টিরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে৷
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ২০১৯-এ বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের জেরে শরণার্থী হিন্দু, পার্সি, শিখ, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে৷ ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে ভারতে আসা শরণার্থীদেরই ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে৷