কারণ পাখি এসে ধাক্কা মারায় বিমানের তিনটি ফ্যান ব্লেড নষ্ট হয়ে যায় এবং ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। ক্যাপ্টেন গুরুচরণ অরোরা বলেন যে ককপিটে বসে তিনি কোনও আগুন লাগার ইঙ্গিত পাননি। আগুন লেগেছে সেটা দেখতে পান যাঁরা মাটিতে অর্থাৎ নিচে ছিলেন। আগুন দেখতে পান এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের কর্মীরাও।
আরও পড়ুন Paternity Leave: সন্তান জন্মের পর মায়েদের মতো বাবারাও কি পাবেন বেশি দিনের ছুটি?
advertisement
যাঁরা সেই সময় বিমানে আগুন লাগা দেখতে পান তাঁরা অনেকেই এই দৃশ্যটির ভিডিও তুলেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে বিমানের বাঁ দিকের ইঞ্জিন থেকে আগুনের ফুলকি বেরোচ্ছে। বিমানের এক কর্মী জানান যে এমনটা যে হতে পারে বিমান আকাশে ওড়ার সময় সেরকম কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিক ভাবেই টেক অফ করেছিল বিমান। কিন্তু আকাশে ওড়ার খানিকক্ষণের মধ্যেই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল থেকে জানানো হয় যে বিমানের ইঞ্জিন নম্বর ওয়ান থেকে আগুনের ফুলকি ও ধোঁয়া দেখা গিয়েছে।
সাধারণত এরকম কোনও সিগন্যাল এলে পাইলট যা করেন তাকে বিমান চালনার ভাষায় 'প্যান প্যান' (Pan-Pan) বলা হয়। এর অর্থ হল সবাইকে বলে দেওয়া যে বিমানে কিছু একটা গোলমাল হয়েছে। তবে সেটা সব সময় চট করে বোঝা যায় না যে আদতে ঠিক কী ঘটেছে। তাই পাইলট তালিকা ধরে ধরে বোঝার চেষ্টা করেন যে কেন এরকম ইঙ্গিত দেওয়া হল।
এই ভাবেই একের পর এক সম্ভাব্য কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় যে বাঁ দিকের ইঞ্জিনে আগুন লেগেছে। দেরি না করে ক্যাপ্টেন সিদ্ধান্ত নেন যে যত দ্রুত সম্ভব সবচেয়ে কাছের বিমানবন্দরে নামতে হবে।
বিমানকর্মী জানান যে এইভাবে উড়ন্ত পাখির দ্বারা বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া নতুন কিছু নয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পাখিরা বিমানের সামনের কাচে গিয়ে ঠোক্কর মারে। তবে এক্ষেত্রে সেটা হয়নি। যদিও একটি ইঞ্জিন নষ্ট হলেও এক ঘণ্টা পর্যন্ত অন্য ইঞ্জিন দ্বারা বিমান আকাশে উড়তে পারে। তবু ঝুঁকি না নিয়ে পাইলট যাত্রীদের কথা ভেবে জরুরি অবতরণ করেন।