নবান্ন সূত্রে খবর, বিভিন্ন জেলায় করোনা আক্রান্তদের উপর বিশেষভাবে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে প্রথম ধাপে ৩৭১৮টি বেড কোভিডের জন্য রাখা হয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২৬ শতাংশ মানুষের বুস্টার ডোজ নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে বাকি রয়েছে অনেকেই। তাই রাজ্যের যে বুস্টার ডোজ প্রয়োজন রয়েছে সেকথা কেন্দ্রকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
advertisement
পাশাপশি, পরীক্ষা বাড়ানোর কথা বলা হয় এদিনের বৈঠকে৷ মুখ্যসচিবের কড়া নির্দেশ, সব ধরনের কিট যাতে প্রস্তুত থাকে সেগুলি দেখতে হবে। অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটরের ব্যবস্থা রাখতে হবে হাসপাতালগুলিতে। যাঁদের শ্বাসকষ্ট সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। এয়ারপোর্টে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা করবে বর্ধমান মেডিক্যাল, রেণু খাতুনের হাত প্রতিস্থাপনের জন্য অর্থ বরাদ্দ জেলা পরিষদের
সম্প্রতি রাজ্যে বিদেশ ফেরত দুজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাই এদিনের বৈঠকে এয়ারপোর্টে আরও নজরদারি বাড়ানোর পক্ষেও সওয়াল করেন মুখ্যসচিব৷ রাজ্যের তরফে ভ্যাকসিন চেয়ে কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় চিঠি লেখা হচ্ছে বলেও সূত্রের খবর। হাসপাতালগুলিতে ইতিমধ্যেই অক্সিজেন প্লান্ট-সহ যে একাধিক পরিকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলি যাতে ফের কার্যকরী করা হয় সেই বিষয়েও নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছে রাজ্য। মনে করা হচ্ছে, এদিনের বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে এখনও কী কী অ্যাডভাইজারি এসেছে তা নিয়েও বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল, জেলাশাসকদের সঙ্গে পর্যালোচনা করেন মুখ্যসচিব।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়