কথায় বলে, দিল্লির পথ যায় লখনউ হয়ে। কারণ, উত্তরপ্রদেশ থেকেই ৮০ জন সাংসদ যান লোকসভায়। সেই উত্তরপ্রদেশে এবার বিজেপি বিরোধী মহাজোট। যাদের প্রথম সভা হল রবিবার।
মহাজোটের সভা থেকে মায়াবতীর নিশানায় মোদি ৷ জনসভা থেকেই নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে মায়াবতী বলেন, ‘বিজেপি এবার ভোটে হারবে ৷ কারণ, তাদের নীতি হচ্ছে হিংসার নীতি...যতই ছোট-বড় চৌকিদার আসুন, বিজেপি এবার জিতবে না ৷’
advertisement
একসময়ের শত্রু সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টি এবার একজোটে লড়বে ৷ উত্তরপ্রদেশের ৩৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে মায়াবতীর বিএসপি ৷ ৩৭টিতে লড়বে অখিলেশ যাদবের এসপি ৷
জাঠ ভোট টানতে অজিত সিংয়ের আরএলডিকেও এই মহাজোটে নেওয়া হয়েছে। তারা লড়বে তিনটি আসনে ৷
এই তিন দলের প্রথম অক্ষর অর্থাৎ, সমাজবাদী পার্টির ‘স’, রাষ্ট্রীয় লোক দলের ‘র’ এবং বহুজন সমাজ পার্টির ‘ব’কে পাশাপাশি রেখে, সরাব জোট বলে গত মাসেই কটাক্ষ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এ দিন সাহারনপুরের সভায় মোদিকে পালটা দেন অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, ‘এটা সরাবের জোট নয়, এটা এমন এক শক্তি যা দেশকে নতুন প্রধানমন্ত্রী দেবে ৷’
এর মধ্যে সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ভোটের একটি বড় অংশ বরাবরই ময়াবতীর পাশে রয়েছে ৷ অখিলেশের শক্তি যাদব ভোটব্যাঙ্ক ৷ গত কয়েকটি ভোটের ফল থেকে স্পষ্ট, মুসলিম ভোটারদের সিংহভাগও সমাজবাদী পার্টির পাশে ৷ কিন্তু, কংগ্রেস একা লড়ায়, তারা এই মুসলিম ভোটব্যাঙ্কে এবার ভাগ বসাবে না তো ? তেমনটা হলে সুবিধা হবে বিজেপির ৷
উত্তরপ্রদেশে জনসংখ্যার প্রায় ১৯ শতাংশ সংখ্যালঘু ৷ এই সংখ্যালঘু ভোট যাতে ভাগ না হয় সেই লক্ষ্যেই এ দিন বার্তা দেন মায়াবতী। যে জায়গা থেকে এই বার্তা দিলেন সেটাও তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, পশ্চিম উত্তরপপ্রদেশের সাহারনপুরের ওই দেওবন্দ এলাকায় সংখ্যালঘু ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর।
কয়েক মাস আগে, গোরক্ষপুর, ফুলপুর, কৈরানার মতো লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে এই মহাজোটের প্রার্থী লড়েছিলেন। প্রতি কেন্দ্রেই হেরে যায় বিজেপি। যদিও তাদের মতে, উপনির্বাচন আর লোকসভা ভোট এক নয়। তবে, মহাজোটের আশা, মোদি বিরোধী ভোটকে এককাট্টা করতে পারলে এবার উত্তরপ্রদেশে ধাক্কা দেওয়া যাবে বিজেপিকে।