সামনের বছর কলকাতা পুরসভার ভোট। তার আগে, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। যোগ দিলেন জুটিতে। শোভনের বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও নাম লেখালেন পদ্ম শিবিরে। বুধবার, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার, বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তিনি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। তারপর এ দিন দুজনে যান দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে, বিজেপির সদর দফতরে। সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে দলবদল।
advertisement
দল বদলেই পুরোন দলকে নিশানা করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।প্রশ্ন তুললেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটের সময় প্রশ্ন তুলেছিলাম, কেন বিরোধীরা মনোনয়ন দিতে পারছেন না? নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে শুধু বিজেপিই নয়, দেশও শক্তিশালী হচ্ছে ৷’
পুরনো সতীর্থকে পাশে পেয়ে মুকুল রায়ও তাঁর পুরনো দলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান ৷এবারের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ভাল ফলের পর, অনেকেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। পঞ্চায়েত-পুরসভা স্তরের নেতাদেরও নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে। এ নিয়ে রাজ্য বিজেপির একাংশে ক্ষোভ তৈরি হয়। এ দিন শোভন-বৈশাখী যখন বিজেপির সদর দফতরে বসে, তখন কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আছে তা নিয়ে কাঁটা রেখেই কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে দলে স্বাগত জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
গত কয়েক বছর ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। গত বছর শেষের দিকে, তিনি মন্ত্রিত্ব ও কলকাতার মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেন। এতে জল্পনা বাড়ে, তা হলে কি এবার কমলে কানন? তৃণমূলের তরফে অবশ্য একাধিকবার শোভনকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু, কানন ফিরলেন না। তৃণমূলের কানন কমলেই। সঙ্গে বন্ধু বৈশাখীও। যিনি একসময়ে ছিলেন তৃণমূলের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার সাধারণ সম্পাদক।