স্ত্রী হাসনারা বেগম তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। আর তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরের বেরুগ্রাম অঞ্চলের চক্ষণজাদি গ্রামের তৃণমূল নেতা৷ নাম ফিরোজ শেখ। গ্রামবাসীরা বলছেন, ওই নেতা দখল করে রেখেছেন একাধিক গ্রামবাসীর বেশ কয়েক বিঘে জমি। দখল করা জমিতে তৈরি করেছেন বিশাল গোডাউন। গাড়ি রাখার গ্যারাজ। গায়ের জোরে সরকারি সাবমার্সিবেলের জল নিয়ে গিয়েছেন নিজের গোডাউনে। গ্রামের দুটি দোকান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা সার তুলে নিয়েছেন গায়ের জোরে। তাঁর জুলুমে ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গিয়েছে একটি সারের দোকানে। যবাংলা আবাস যোজনার ঘর প্রাপকদের কাছ থেকে তোলা নিয়েছেন কুড়ি হাজার টাকা করে।
advertisement
জুলুম অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ফুঁসে উঠেছেন এলাকার মানুষ। তাঁরা এখন মুখ খুলছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি ফিরোজ শেখের। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই এসব বলা হচ্ছে। কারও জমি আমি দখল করিনি। জমি যে আমার সেসব নথি রয়েছে। আমি আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। দলকেও বিষয়টি জানিয়েছি। দল তদন্ত করে দেখুক।’’
তৃণমূলের বেরুগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি সেখ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘‘অনেক অভিযোগ রয়েছে। দলীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’ তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’