কপিল সিবাল, গুলাম নবি আজাদ, মণীশ তিওয়ারির মতো নেতারা দীর্ঘদিন ধরেই স্থায়ী সভাপতি চেয়ে সরব হয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন তারা সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন না করলেও ঠারেঠোরে বিক্ষুব্ধ নেতাদের কড়া বার্তা দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধি। বিক্ষুব্ধদের টার্গেট যে রাহুল গান্ধি , তা বুঝতে কারও অসুবিধা নেই। এক্ষেত্রে আপাতত নিজের হাতেই ব্যাটন ধরে রাখলেন সোনিয়া।
advertisement
তিনি বলেছেন, "আপনারা যদি আমাকে বলার অনুমতি দেন তাহলে বলি আমি দলের পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী। চিরকাল খোলামেলা আলোচনা পছন্দ করে এসেছি সংবাদমাধ্যমে মুখ না খুলে আমার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে পারেন।"রাহুল গান্ধিকে আড়াল করতেই কি নিজেকে পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী বলে দাবি করলেন সোনিয়া গান্ধি? অন্তত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা তেমনটাই মনে করছেন। জি-২৩ গ্রুপের নেতাদের কড়া বার্তা দিয়ে আপাতত রাহুলকে আড়াল করলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পুজোর পরই আশঙ্কার মেঘ, প্রবল বৃষ্টি আর ঝড়ের পূর্বাভাস এই জেলাগুলিতে! জারি নিষেধাজ্ঞাও
শনিবার কংগ্রেস কার্যকরী কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা প্রস্তাব পাস হয়েছে। পেট্রোপণ্য এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু, এরই মধ্যে নিজেকে পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী কেন বললেন সোনিয়া, তা নিয়ে আপাতত জাতীয় রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।এদিকে, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট রাহুল গান্ধিকে দ্বিতীয়বার দলের সভাপতি পদে বসানোর পক্ষে জোরদার সওয়াল করেন। এমনকী যতদিন না পর্যন্ত দলের স্থায়ী সভাপতি নির্বাচন হচ্ছে ততদিন রাহুল গান্ধিকে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের সমর্থন প্রার্থনা করেন গেহলট।
সূত্রের খবর, বৈঠকে বেশিরভাগ নেতা গেহলটের এই প্রস্তাব সমর্থন করেছেন। আগামী বছর সেপ্টেম্বরে দল নতুন সভাপতি পেতে চলেছে। সেক্ষেত্রে সভাপতির দৌড়ে রাহুল গান্ধি এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। রাহুল গান্ধির পথে বিক্ষুব্ধ নেতারা যাতে কাঁটা বিছোতে না পারে, সেই কারণেই সোনিয়া গান্ধি নিজেকে পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী ঘোষণা করলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।