সোনিয়া জানান, গান্ধি জয়ন্তীর দিন থেকে শুরু হবে ‘কন্যাকুমারী সে কাশ্মীর ভারত জোড়ো যাত্রা’। তারও আগে ১৫ জুন থেকে দ্বিতীয় পর্বের ‘জনজাগরণ অভিযান’ চালাবে কংগ্রেস। সভানেত্রীর কথায়, ”কংগ্রেস এখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখান থেকে বেরিয়ে আসব। জনজাগরণ অভিযানের মাধ্যমে মানুষকে যুক্ত করা হবে। তারপর দেশজুড়ো অভিযান চালানো হবে।”
advertisement
আরও পড়ুন : ফের বিস্ফোরক অর্জুন সিং! নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের আগেই ফাটালেন বোমা, যা বললেন বিজেপি সাংসদ
তাঁর কথায়, "বন্ধুরা এবং সহকর্মীরা, আমি আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। আমরা এই সময় কাটিয়ে উঠব। এটাই আমাদের সংকল্প। এটাই আমাদের নবসংকল্প। কংগ্রেসের নতুন উদয় হবে। এটাই আমাদের নবসংকল্প।
সোনিয়া গান্ধি তাঁর বিবৃতিতে জানান,"আমরা এই চিন্তন শিবিরের শেষে এসেছি। দলের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে, আমি অশোক গেহলট-জি, গোবিন্দ সিং দোতাসরাজি এবং সমস্ত সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের এখানে আতিথেয়তা করার জন্য এবং এমন চমৎকার ব্যবস্থা করার জন্য।
আমি মনে করি এটি একটি খুব দরকারী এবং ফলপ্রসূ শিবির হয়েছে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই গঠনমূলক অংশগ্রহণের মনোভাব নিয়ে মতামত প্রকাশ করার এবং পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। আমি ছয়টি গরূপে আলোচনার সারসংক্ষেপ পেয়েছি। তাঁরা আমাদের দলীয় অবস্থান, নীতি ও কর্মসূচি জানাবেন। যা আগামী দিনে রাজ্য এবং জাতীয় নির্বাচনের জন্য ইস্তেহার প্রস্তুত করার জন্য মূল্যবান ভূমিকা নেবে।"
১৯৪২ সালে কংগ্রেস ভারত ছাড়ো আন্দোলন করেছিল। সেই কথাকে মাথায় রেখেই ২০২২ সালে এবার কংগ্রেস শুরু করবে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। বলা হচ্ছে, এই যাত্রার মধ্যে দিয়ে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যমাত্রাই রয়েছে কংগ্রেসের।
আরও পড়ুন : স্বামীর কাছ থেকে সবার আগে 'এই' কাজটিই চান তিনি! যা জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী...
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার থেকে শুরু হয় কংগ্রেসের চিন্তন শিবির। তিনদিনের এই শিবিরের শুরুতেই কংগ্রেস নেতারা স্বীকার করে নিয়েছিলেন, গত দু’বছরে গণতন্ত্রের আধুনিকীকরণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারায় পিছিয়ে পড়েছে দল। তাই এবার আধুনিকীকরণে জোর দিচ্ছে কংগ্রেস। সূত্রের দাবি, আগামী দিনে বিজেপির ধাঁচে মনগ্রাহী স্লোগান, ক্যাচলাইন বা প্রচার কৌশল তৈরির জন্য আলাদা পেশাদার লোক নিয়োগ করার কথাও ভাবছে দল।
এছাড়াও এই শিবিরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। যার মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, দলের অন্দরের বিক্ষুব্ধ শিবিরের অন্যতম দাবি মেনে আলাদা সংসদীয় বোর্ড গঠন করা। কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলের ওয়ার্কিং কমিটির সিলমোহর পেলেই আলাদা সংসদীয় বোর্ড তৈরির প্রস্তাব ছাড়পত্র পেয়ে যাবে। এছাড়াও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব এদিন দেওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, আগামী দিনে দলের সমস্ত পদে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ করা হতে পারে। সবটাই CWC’র অনুমতি সাপেক্ষ।
