CNN-News18-এর এক্সক্লুসিভ তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে, সোনালিকে মাদক দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত। দাবি করা হয়েছে যে, এমডিএমএ নামের ওই ওষুধগুলি মূলত হোটেলের কর্মীদের থেকেই সংগ্রহ করা হয়েছিল। এ-দিকে রিপোর্ট বলছে, এমডিএমএ অতিরিক্ত মাত্রায় দেওয়ার ফলেই মৃত্যু ঘটেছে সোনালির।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ অগাস্ট বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন টিকটক (Tiktok) তারকা এবং রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’ (Bigg Boss) প্রতিযোগীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এর এক দিন আগেই গোয়া পৌঁছেছিলেন তিনি। সোনালি ফোগটের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। সূত্রের খবর, প্রথমে অভিযুক্তদের সকলকে সামনাসামনি বসিয়েই জেরা করে এনসিবি। পরে অবশ্য আলাদা ভাবেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জেরায় অভিযুক্তদের দাবি, হোটেলকর্মীদের কাছ থেকে ২ মিলিগ্রাম মতো এমডিএমএ-র ডোজ আনানো হয়েছিল। এর পর তাঁরা সকলেই পার্টিতে যান এবং পার্টি চলাকালীনই সোনালি অচৈতন্য হয়ে পড়েন। সেই সময় সোনালিকে হোটেলে ফিরিয়ে আনা হয়। এর পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
advertisement
আরও পড়ুন- তুলসি পাতা তোলার আছে নিজস্ব নিয়ম, জানেন কি? না মানলে অর্থাভাব কখনও পিছু ছাড়বে না
মাদকের ওভারডোজ:
হোটেল মালিকের দাবি, এই এলাকায় এমডিএমএ খুব সহজেই পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে, তাঁরা কর্মীদের জন্য এটির স্টকও রেখে দিয়ে থাকেন। অভিযুক্ত সুধীর সাঙ্গওয়ান এনসিবি-র কাছে জানিয়েছেন যে, তিনি সোনালিকে অতিরিক্ত মাত্রায় মাদক দেননি। তাঁর দাবি, এর আগেও সোনালি এই সব মাদক খেয়েছেন। এনসিবি জানিয়েছে যে, সোনালি হত্যা মামলায় আরও সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হবে। সেই সঙ্গে আরও জেরা করা হবে অভিযুক্তদেরও।
সিবিআই তদন্তের প্রস্তুতি:
এরই মধ্যে সোনালি-হত্যার তদন্ত করার ভার সিবিআই-এর হাতেই দিতে চাইছে হরিয়ানা সরকার। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ (Anil Vij) জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যেই সোনালির অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তভার যাতে সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হয়, তার জন্য গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী এবং সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।