আরশাদ তার মা বাবা এবং চার বোনকে লখনউ ঘুরতে নিয়ে এসেছিল। তারা সকলেই মূলত আগরার বাসিন্দা। তবে আরশাদের বাবার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আরশাদ পুলিশকে জানিয়েছে যে, হত্যার সময় তার বাবা সেখানে ছিলেন, যিনি নিজেকে আত্মহত্যা করার কথা বলে হোটেল থেকে চলে গিয়েছিলেন। বর্তমানে পুলিশ তার বাবার খোঁজে বেরিয়ে পড়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ভুয়ো নথি ব্যবহার করে জাল আধার! নেই কোনও বৈধ কাগজও, ১৬ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল এই রাজ্যের পুলিশ
হোটেল শরণজিতের কাছের হোটেলের ম্যানেজার বলেছেন, ৩০ তারিখে পরিবারটি হোটেলে চেক ইন করেছিল। আজ সকালে জানা গেল যে ছেলেটি মা এবং তার চার বোনকে হত্যা করেছে। পুলিশ অভিযুক্ত ছেলেটিকে গ্রেপ্তার করেছে। এখানে সেই ধরনের মানুষ আসে, যারা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনে আসেন এবং ৫০০-৭০০ টাকায় রুম পেয়ে যান। অভিযুক্ত তার পরিবারের সাথে যে ঘরে থাকছিল, তার নম্বর ছিল ২০১।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত আরশাদ তার চার বোন এবং মায়ের হত্যার ঘটনাটি স্বীকার করে জানিয়েছে যে, তার পাড়ার মানুষরা তাদের পরিবারকে বিরক্ত করছিল। তার ভয় ছিল যে, যদি তার কিছু হয়, তবে তার মা এবং বোনের কী হবে? তাই সে তাদের মেরে ফেলবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! ক্রিকেট খেলতে খেলতেই মাঠে লুটিয়ে পড়লেন যুবক! নিমেষে সব শেষ…
আরশাদ প্রথমে পরিবারকে আজমীর নিয়ে গিয়েছিল, তারপর লখনউ নিয়ে এসে সবাইকে হোটেলে রাখতে দেয়। রাতে মদ খাওয়ানোর পর সবার মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দোপাট্টা দিয়ে গলা চেপে ধরেছিল এবং ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা কেটেছিল। এই কাজে তার বাবাও সাহায্য করেছিল। এরপর তাকে রেলওয়ে স্টেশনে ছেড়ে দিয়ে এসে সে থানায় গিয়ে ঘটনার খবর দেয়। খুন করতে ব্যবহৃত ব্লেড এবং দোপাট্টা উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তের সঙ্গে ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে। প্রতিটি সত্যের সঙ্গে প্রমাণ সংগ্রহ করে যাচাই করা হচ্ছে।