নতুন নির্দেশিকায় সই করতে বার্তা এসেছিল মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে। আইনি প্রশ্ন তুলে ফাইল সই না করেই ফেরৎ পাঠান দুই আধিকারিক। কর্মীদের বদলি সংক্রান্ত এই নির্দেশ ঘিরেই নতুন করে কেন্দ্রের সঙ্গে দ্বৈরথে কেজরিওয়াল। সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ২০০-রও বেশি আধিকারিক ছুটিতে গেলেও দমছেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে ট্যুইট করে তা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি ৷ ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘এই আধিকারিকদের থাকা বা না থাকায় কিছু যায় আসে না। ওরা ছুটিতে গেলেই ভালো। সরকার পুরো বেতন দেবে। ওরা ছুটিতেই থাকুন। সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে দায়বদ্ধ। রাজনীতি করতে হলে অন্য জায়গা আছে। ’
advertisement
ফাইলে সইয়ের নির্দেশ না মানায় দুই আধিকারিককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেয় কেজরিওয়াল প্রশাসন। কিন্তু তাতে ফের বাধা হয়ে দাঁড়ায় কেন্দ্র। কর্মীবর্গ পরিচালনা মন্ত্রক মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ফ্যাক্স পাঠিয়ে জানিয়ে দেন, আইএএস অফিসারদের সাসপেন্ড করার ক্ষমতা দিল্লি সরকারের নেই। তারপরই আক্রমণের তির ঘুরে যায় লেফটান্যান্ট গভর্নরের দিকে। ধর্মঘটী আধিকারিকদের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠে গভর্নর নাজিবের উপরে ৷ তবে কেজরিওয়াল কেন্দ্র ও লেফটান্যান্ট গভর্নরকে নিশানা করলেও কৌশলগত ভাবেই এখনই ব্যক্তিগত আক্রমণের পথে হাঁটছে না বিজেপি। বরং কেজরিওয়াল সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতা নিয়েই সরব তাঁরা। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ ছাড়া কর্মীদের বদলির নীতির সমাধান সম্ভব নয়। একথা বুঝেই আপাতত আপ প্রশাসনের সুর নরম হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে কেন্দ্র বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।