গ্রীষ্মের পরে, বর্ষা আসতে চলেছে। ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে স্কুলপড়ুয়া শিশুদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে বিশেষ পাঠের। এই রাজ্যের গুমলা জেলা আদিবাসী অধ্যুষিত পাহাড়ি এলাকা। এখানে ঘন জঙ্গল, নদী তো রয়েছেই, সঙ্গে রয়েছে অসংখ্য ছোটখাটো বিল, পুকুর, নালা।
এমনিতেই ঝাড়খণ্ড বজ্রপাতপ্রবণ রাজ্য। তাই বর্ষায় বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা অগণিত। পাশাপাশি থাকে জলাশয়ে ডুবে যাওয়া বা সর্প দংশনে মৃত্যুর ঘটনা। গুমলার মতো প্রান্তিক জেলায় এই ধরনের ঘটনার সংখ্যাও বেশি অনেকটাই। তাই, একেবারে ছোটদের এই ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য বা কীভাবে সতর্ক হতে হবে, সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে স্কুলে। যাতে তারা নিজেদের এবং তাদের আশেপাশের মানুষকে সাহায্য করতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: লাগাতার কাজ থেকে ছুটির প্রয়োজন, বছরে কতবার বেড়াতে যাওয়া উচিত জানেন?
ডিএসই মহম্মদ ওয়াসিম আহমেদ জানান, বর্ষা আসার সঙ্গে সঙ্গেই বজ্রপাতের আশঙ্কা বাড়ছে। একই সঙ্গে গাছ ভাঙা, বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়া বা বাঁধ ভেঙে যাওয়ার মতো বিপর্যয় সম্পর্কেও সচেতন থাকা প্রয়োজন। গ্রামীণ এলাকায় সর্পদংশনও একটা বড় বিষয়।
সেজন্যই এই সব বিপত্তি প্রতিরোধের উপায় শিক্ষকদের মাধ্যমে শিশুদের জানানো হবে। সর্পদংশনের ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, এই বিষয়ে সচেতনতাও তৈরি করা হবে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে যেন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও মেডিক্যাল অফিসারের মোবাইল নম্বর লিখে রাখা হয়। শিক্ষার্থীদের বার বার নম্বরটি মনে করিয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের বিরুদ্ধে আসলে তৃণমূলই? ডেবরায় যা ঘটল, ভোট না এলে বোঝাই যেত না
গত বছর বজ্রপাতের বহু শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। তাই, খোলা আকাশের নিচে, মাঠে না থাকা, খালি পায়ে না হাঁটা বা উঁচু ও ঘন গাছের নিচে আশ্রয় না নেওয়ার কথা বার বার বলা হচ্ছে।
বর্ষায় নদী বা পুকুরে স্নানে নেমেও অনেক শিশু তলিয়ে যায়। সুরক্ষার জন্য কী করবে তারা, সেবিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
তবে কোনও ঘটনা ঘটে গেলে সরকারি তরফে পরিবারকে কী কী সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, তাও জানানো হবে শিশুদের। স্কুলে, প্রার্থনা এবং যোগব্যায়ামের পরে, শিশুদের কাছে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি বলা হয়।