সিওয়ান: পড়শি রাজ্য বিহারের সিওয়ান জেলায় নতুন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে এলেন ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবার ২০১৬-র ব্যাচের অফিসার মুকুল কুমার গুপ্তা। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সেটেলমেন্ট অফিসারের অতিরিক্ত ভারও থাকবে তাঁর উপর। ২০২১ সালে এই আইএএস অফিসার প্রচারের আলোয় এসেছিলেন। বিসিসিআই-এর সঙ্গে রীতিমতো ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন তিনি। আজ সেই গল্পই শুনে নেওয়া যাক।
advertisement
প্রসঙ্গত, মুকুল কুমার গুপ্তার আগে এই পদে নিযুক্ত অফিসার অমিত কুমার পাণ্ডেকে বদলি করা হয়েছে খাগরিয়ায়। আসলে সম্প্রতি বেশ কিছু অফিসারের বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। তার মধ্যেই ছিল এই দুই জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নাম ৷
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে বিসিসিআই-এর সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান সিওয়ানের নয়া নিযুক্ত ডিএম। তিনি তখন জেহানাবাদে ডিডিসি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে উপলক্ষে ওই বছরের ১৮ নভেম্বর রাঁচির একটি পাঁচতারা হোটেলের ৮০ শতাংশ ঘরই বুক করে রেখেছিলেন। এদিকে আবার তার পরের দিনই রাঁচিতে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ফলে ওই পাঁচতারা হোটেলে ক্রিকেটারদের রাখার জন্য বিসিসিআই-এর তরফে আইএএস অফিসার মুকুলের সঙ্গে কথা বলা হয়। তাঁকে বিয়ের অনুষ্ঠান অন্যত্র স্থানান্তর করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু রাজি হননি তিনি। ফলে শুরু হয় ঝামেলা।
পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় বিষয়টি দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছয়। এর পর দিল্লি থেকে নির্দেশ পেয়ে বিয়ের আসর অন্য হোটেলে স্থানান্তরিত করতে বাধ্য হয়েছিলেন ওই অফিসার। বিষয়টি এখানেই থেমে থাকেনি। মুকুল কুমার গুপ্তার বিরুদ্ধে অভিযান চালায় ইকোনমিক অফেন্সেস ইউনিট। ফলে সব দিক থেকেই তাঁর উপর চাপ বাড়তে শুরু করে। প্রশ্ন ওঠে, কীভাবে তিনি পাঁচতারা হোটেলের প্রায় ৮০ শতাংশ রুম বুক করলেন। ফলে আইএএস অফিসারের বিয়েও তদন্তের মুখে পড়ে। এর জেরে অবশ্য পরেও অনেক সমস্যার সম্মুখীনও হতে হয়েছে ওই অফিসারকে। যদিও শেষ পর্যন্ত বিষয়টি মিটমাট হয়ে গিয়েছিল।