নতুন করে ধস নামায় আজ নর্থ সিকিমের পাশাপাশি ছাঙ্গু লেকেও পর্যটকদের পারমিট দেওয়া হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, রাতভর অবিরাম বৃষ্টির জেরে। নর্থ সিকিমে বেড়াতে গিয়ে আটকে ছিলেন প্রায় আড়াই হাজার পর্যটক পর্যটক। রাস্তার ওপর দিয়ে বইতে থাকে জল। ১০ নং জাতীয় সড়কে ধস। লাচুং, লাচেন, ইয়ুমথাংয়ের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। ভারী বৃষ্টির জেরে পেগংয়ের কাছে ধস।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রচন্ড খারাপ পরিস্থিতি সিকিমে, হাজার-হাজার পর্যটকের মাথায় হাত! নদীতে ভেসে গেলেন বৃদ্ধ
ফুঁসছে পূর্ব ও পশ্চিম সিকিমের একাধিক নদীও। পশ্চিম সিকিমে রিম্বি নদীতে ভেসে গিয়েছিলেন এক বৃদ্ধ।সিকিমের বিভিন্ন পর্যটনস্থলে যাওয়ার ব্যাপারে রয়েছে সে-রাজ্যের নানা সরকারি বিধিনিষেধ।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে স্থগিত শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া! জানাল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর
কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সে সব নিষেধাজ্ঞা কতটা মানা হয়, সরকারি নজরদারিই বা কতখানি থাকে, সম্প্রতি তুষার ধসে সাত পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনার পরে সে ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। গ্যাংটক-নাথু লা পথে ১৫ মাইল এলাকায় তুষার ধসে দুর্ঘটনায় মারা যান সাত পর্যটক। জখম অন্তত ২৭।
এদিকে, গতমাসেই তুষারঝড়ে আটকে পরা ৪০ পর্যটককে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে ভারতীয় সেনা ও বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও)। অপারেশন স্বস্তিক নামে অপারেশন চালায় ভারতীয় সেনা ও বিআরও। এই নিয়ে চলতি বছরে পঞ্চমবার তুষারঝড়ে আটকে পরা পর্যটকদের উদ্ধার করল সেনা ও বিআরও। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু হাজার পর্যটকের প্রাণ বাঁচিয়েছে সেনা ও বিআরও।