জওহরলাল নেহেরু রোড ধরে শুধুই বরফ। চারপাশ সাদা বরফের পুরু চাদরে ঢাকা। আরও অপূর্ব হয়ে উঠেছে শৈল রাজ্য। অথচ পারমিট না থাকায় হোটেলবন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে পর্যটকদের। স্বভাবতই মন খারাপ পর্যটকদের। রুমে বসেই ছাঙ্গু বেড়াতে না পারার অফসোস যেন কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পাগলের মতো হাওয়ার দাপট, সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ তুমুল বৃষ্টি, কখন হবে তুলকালাম
advertisement
গত পরশুদিন প্রবল তুষারপাতের জেরে আটকে থাকা ১০০০ পর্যটক বোঝাই ২০০টি গাড়ি নামিয়ে এনেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী ও সিকিম প্রশাসন। তাই আজ আর ঝুঁকি নিতে নারাজ সিকিম সরকার। চলতি সপ্তাহেই দু' দুবার পর্যটকেরা তুষারপাতের জেরে আটকে পড়েন বেড়াতে গিয়ে। সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বরফ না গললে পারমিট নয়। অর্থাৎ রাস্তাঘাট স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলেই পর্যটকদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পাহাড়জুড়ে শিলাবৃষ্টি! বরফে ঢাকল সান্দাকফু, সে দৃশ্য ভোলার নয়
অন্যদিকে আজও পাহাড়ে মেঘের ঘনঘটা! দার্জিলিং হোক কিংবা কার্শিয়ং। মিরিক বা কালিম্পং। সর্বত্রই আকাশে মেঘের ভেলা। আর এই মেঘের আড়ালেই লুকিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা। গত বেশ কয়েকদিন ধরে দেখা নেই শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার। আজ মাঝেমধ্যে উঁকি মারছে রোদ। শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছেই। আপাতত মনোরম আবহাওয়ায় মজেছেন পর্যটক থেকে সাধারণ বাসিন্দারা৷
গত দু'দিন তুষারপাত হয়েছে সান্দাক ফু'তে। আজ রোদ উঠতেই সান্দাক ফু'র সৌন্দর্য বেড়েছে কয়েক গুন। বহু পর্যটক এখন দার্জিলিং থেকে রুট বদলে ভিড় জমিয়েছে সান্দাক ফু'তে। নতুন করে তুষারপাত না হলেও এখোনও বরফের ছোঁয়া রয়েছে ইতিউতি। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর শেষ কবে সান্দাক ফু'তে তুষারপাত হয়েছিল, মনে করতে পারছেন না স্থানীয়দের অনেকেই। আর অকালে তুষারপাত মুখে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পর্যটকেরা ছুটছেন পাহাড়ে, বরফের সঙ্গে খেলতে!