এখনও পর্যন্ত সিকিমের তুষার ধসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৭-এ। মৃতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। এই সাতজনের মধ্যে ২ জন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। ঘটনায় আহত কমপক্ষে ১৩।
আবহাওয়া যে খারাপ, তা আগে থেকেই জানতেন পর্যটকেরা। কিন্তু, ধবধবে সাদা বরফে নিয়ে মেতে ওঠার লোভ সামলাতে পারেননি বোধহয়। রাস্তার ধারে বরফ পড়ে থাকতে দেখে পর্যটকেরা যখন পাহাড়ের ঢালে উঠে হুল্লোড়ে মেতেছেন, তখনই হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে নেমে আসে অ্যাভাল্যাঞ্চ। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তুষার ধসের সেই ভয়াবহ ভিডিও। বেড়াতে গিয়েও যে এমন বিপদের মুখে পড়া যায়, এই ভিডিও না দেখলে হয়ত বিশ্বাসই করবেন না।
advertisement
তুষারধসের জেরে ইতিমধ্যেই রাস্তায় আটকে পড়েছে ছাঙ্গুগামী বহু গাড়ি। বিপাকে প্রায় ৩৫০ পর্যটক। যে অঞ্চলে ধস নেমেছে, তার আশেপাশের বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ১৫০ জন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার তুষারধস নামার পরই পরই শুরু করা হয় উদ্ধারকাজ। বরফের স্তূপের ভিতর থেকে পর্যটকদের বার করার মরিয়া চেষ্টা চালানো হয়। প্রথমের দিকে খারাপ আবহাওয়া থাকায় কিছুক্ষণের জন্য ব্যাহত হয় উদ্ধারকাজ।
সিকিম সরকারের তরফে দুর্ঘটনায় মৃতদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মৃতদের মধ্য়ে তিনজন নেপালের বাসিন্দা, তাঁদের নাম মুনা শাহ শ্রেষ্ট্রা, শিব লামিচান(২২), আশিকা ঢাকাল (২২)। এছাড়া, উত্তরপ্রদেশের দু'জন বাসিন্দারও মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায়। তাঁরা হলেন বাল সিংহ (৩২) এবং রেবিয়া সিংহ (৬)। পশ্চিমবঙ্গের যে দু'জন বাসিন্দা এই বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁরা হলেন সৌরভ রায়চৌধুরী (২৮) এবং প্রীতম মাটি (৩৮)।