লোকমুখে প্রচলিত কাহিনি অনুযায়ী, ভূমিকম্পের পরে মন্দিরের ভিতর থেকে ভগবান হনুমানজির মূর্তিটি বেরিয়ে এসেছিল। রাজনগরের বাসিন্দা সুধাংশু ঝা সেই কাহিনি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ১৯৮৮ সালে বিহারে ভূমিকম্প হয়েছিল। যার ফলে ব্যাপক ধ্বংসলীলা দেখা গিয়েছিল। সেই ভূমিকম্পের জেরে রাজনগরের প্রায় সমস্ত ঘর-বাড়ি-অট্টালিকা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আবার কিছু ঘরবাড়ি না ভেঙে পড়লেও তাতে ফাটল ধরেছিল। তবে সেই সময় হনুমানজির মূর্তির সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, তা সঠিত ভাবে হয়তো কারও জানা নেই। কিন্তু শোনা যায় যে, অত্যাশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল ওই মন্দিরেই। এর অন্দরে থাকা ভগবান হনুমানজির মূর্তিটি ভূমিকম্পের পরে বাইরেই পড়েছিল। এর পর থেকে বিগত ৩৫ বছর ধরে ওই মূর্তিটি একই অবস্থায় সেখানে পড়ে রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: অলৌকিক? ৪৮ ঘণ্টায় গঙ্গার জলস্তর বাড়ল দেড় ফুট! বেনারসের গরমে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য
আরও পড়ুন: গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভয়ানক তাপপ্রবাহের সতর্কতা! ১৩-১৭ তারিখ নিয়ে চরম সতর্কতা
কথিত আছে যে, যমুন বাবা বছরের পর বছর ধরে এই মন্দিরে পুজো করতেন। এক দিন তিনি ভগবান হনুমানজির মূর্তিটি মাটিতে শায়িত অবস্থায় দেখতে পান। এর পর তা দেখামাত্রই তিনি হনুমানজির মূর্তিটির জন্য একটি মঞ্চ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। সেই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত বছরের পর বছর ধরে সেই মঞ্চে একই ভাবে শায়িত রয়েছেন ভগবান হনুমানজি। এই অনন্য মন্দির এবং হনুমানজির দর্শন পেতে দূর-দূরান্ত থেকে বহু দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে এখানে। ভক্ত এবং স্থানীয়দের বিশ্বাস যে, যাঁরা ভগবান হনুমানজির এই মন্দিরে আসেন এবং এখানে ভক্তি ভরে পুজো করেন, তাঁদের সকলের মনোস্কামনা পূরণ হয়।