দু’ বছর আগে বিনোদের মেয়ে শ্রদ্ধার হত্যাকাণ্ডে ঝড় ওঠে সারা দেশে৷ ২০২২ সালের মে মাসে দিল্লিতে লিভ ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুণাওয়ালার হাতে নির্মমভাবে খুন হন ২৮ বছর বয়সি শ্রদ্ধা৷ অভিযোগ, খুনের পর শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে আফতাব৷ তার পর ফ্রিজে রেখে দেয়৷ পরে বাড়ির কাছে জঙ্গুলে এলাকা থেকে উদ্ধার হয় শ্রদ্ধার দেহাংশগুলি৷ ছ’ মাস পর ১৪ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডটি প্রকাশ্যে আসে৷
advertisement
মেয়ের দেহাংশ ফিরে পেতে গত আড়াই বছর ধরে দিল্লি পুলিশের কাছে আর্জি জানিয়ে গিয়েছেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ৷ কিন্তু এখনও তাঁর আর্জি অধরাই থেকে গিয়েছে৷ শ্রদ্ধার দেহাংশ পরিবারকে ফেরায়নি পুলিশ৷ গত বছর অগাস্ট মাসে তিনি একটি মেয়ের নামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘শ্রদ্ধা ওয়ালকর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ তৈরি করেন৷ সম্পর্কে জটিলতা, হিংসা সংক্রান্ত বিষয়ে কাউন্সেলিং, আইনি সাহায্য এবং সামাজিক ভরসা বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলাই ছিল ওই সংস্থার মূল লক্ষ্য৷
আরও পড়ুন : প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে যোগব্যায়াম থেকে ধ্যান, স্ট্রেস কাটাতে বিশেষ শিবির মেট্রোরেল কর্মীদের জন্য
মেয়ের দেহাংশ চেয়ে গত বছরই ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলা স্থানান্তরিত করার দাবি জানিয়েছিলেন বিকাশ। কিন্তু লাভ হয়নি। মেয়ের খুনের ন্যায়বিচারও স্বচক্ষে দেখে যাওয়া হল না তাঁর! একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল শ্রদ্ধা-আফতাবের। তার পর তাঁরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৮ মে দিল্লির মেহরৌলিতে প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে খুন করেন আফতাব। এর পর শ্রদ্ধার মৃতদেহ ৩৫ টুকরো করে ফেলে আফতাব। মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখতে নতুন ফ্রিজ়ও কিনে আনে সে। তার পর ১৮ দিন ধরে মেহরৌলির জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি ছড়িয়ে দিয়ে আসে। শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর আফতাবকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ডিএনএ পরীক্ষায় জানা যায়, উদ্ধার হওয়া দেহাংশগুলি শ্রদ্ধারই। আফতাবের বিরুদ্ধে ৬,০০০ পাতার চার্জশিট পেশ করা হয়। সেই থেকে আফতাব তিহাড় জেলেই বন্দি।