সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ধামি জানান, আটকে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে যাঁরা খর্বকায় ছিলেন, তাঁদেরই প্রথম বের করে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ যাঁদের উচ্চতা তুলনামূলক বেশি, তাঁদেরকে পরে সুড়ঙ্গ থেকে বের করা হয়৷ যদিও এই পরিকল্পনার পিছনে কী কারণ ছিল, তা স্পষ্ট করেননি মুখ্যমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন: উদ্ধার হওয়া শ্রমিক, উদ্ধারকারীদের ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার!ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী ধামির
advertisement
শ্রমিকদের উদ্ধার করে আনতে এনডিআরএফ-এর যে সদস্যরা সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রবেশ করেছিলেন, তাঁরা অবশ্য জানিয়েছেন প্রথমে ভিতরে গিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধারকাজের পরিকল্পনা বুঝিয়ে দেওয়া হয়৷ এর পর স্ট্রেচারে বসিয়ে শ্রমিকদের বের করা হয়৷ এক- একটি স্ট্রেচারে তিনজন করে শ্রমিককে বের করে আনা সম্ভব হয়৷ ফলে ৪১ জন শ্রমিককে বের করে আনতে খুব বেশি সময় লাগেনি৷
যেভাবে ১৭ দিন ধরে সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে থেকেও এই শ্রমিকরা নিজেদের মনোবল ধরে রেখেছিলেন, তাতে অভিভূত গোটা দেশ৷ শ্রমিকদের এই সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও৷ এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘উত্তরকাশীতে শ্রমিক ভাইদের উদ্ধারকাজের সাফল্য প্রত্যেককে আবেগপ্রবণ করে দেওয়ার মতো৷ সুড়ঙ্গে যাঁরা আটকে ছিলেন, তাঁদের বলব, আপনাদের ধৈর্য এবং সাহস যে কাউকে প্রেরণা জোগাবে৷ আমি প্রত্যেকের মঙ্গল এবং সুস্বাস্থ্যের কামনা করি৷’
মোদি আরও লিখেছেন, ‘এত দীর্ঘ অপেক্ষার পর আমাদের এই সাথীরা এবার তাঁদের প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করবেন, এটা খুবই স্বস্তির৷ এই কঠিন সময়ে এই শ্রমিকদের পরিজনেরাও ধৈর্য এবং সাহসের পরিচয় দিয়েছেন৷ এর জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়৷’
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গে প্রায় ৪০০ ঘণ্টা আটকে থাকলেও ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে প্রত্যেক শ্রমিকই বলেছেন, তাঁরা ঠিক আছেন৷ এমন কি, অ্যাম্বুল্যান্সে বসেই হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা৷ ১৭ দিন পর সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে এসেও তাঁদের মুখে হাসি লেগেছিল৷ শ্রমিকদের এই মনোভাবেরই প্রশংসা করছে গোটা দেশ৷