সঞ্জয় সিং তাঁর দিদি ও জামাইবাবুর ওপর গুরুতর অভিযোগ এনেছেন ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, মধ্যপ্রদেশে আর দল নেই তা পুরোপুরি পরিবারতন্ত্রে পরিণত হয়েছে ৷ তিনি জানিয়েছেন আজ মধ্যপ্রেদেশে শিবরাজ সিং চৌহান নয় প্রয়োজন কমলনাথের ৷ সঞ্জয় সিংয়ের দাবি, গত ১৫ বছরে চৌহান সরকার কিছুই করেনি রাজ্যের জন্য ৷
গত সপ্তাহেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন দুই বিধায়ক ৷ সেই প্রসঙ্গ টেনেই সঞ্জয়বাবু বলেন, ‘মধ্যপ্রদেশে বিজেপি পরিবারতন্ত্রের উপর বেঁচে রয়েছে ৷ বেকারত্ব কিংবা শিল্পের অভাব ৷ এই সমস্ত ইস্যু নিয়ে কোনও মাধাব্যাথা নেই সরকারের ৷ সময় এসেছে কংগ্রেসকে ক্ষমতায় ফেরানোর ৷’
advertisement
আরও পড়ুন: কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন, বিজেপিতে যোগ অন্যতম হেভিওয়েট নেতার
এই প্রসঙ্গে শিবরাজ সিংয়ের ছেলে কার্তিকেয়া চৌহান বলেন, ‘রাজনীতিতে যোগদান কাকুর একেবারেই ব্যক্তিগত পছন্দ ছিল ৷ কেউ তাঁকে জোর করেনি ৷ তাই এই বিষয়টি নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতেও রাজি নই ৷’
২০০৩ সাল থেকে রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি ৷ ১৫ বছর পেরিয়ে গিয়েছে ৷ সেক্ষেত্রে এবার মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় টিঁকে থাকা বিজেপির কাছে বেশ একটি চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে গিয়েছে ৷ আঁটঘাঁট বেঁধে নেমেছে কংগ্রেসও ৷ কমলনাথ এবং জ্যোতিরাদিত্যকে নিয়ে মধ্যপ্রদেশে জোরদার প্রচার চালাচ্ছে কংগ্রেস ৷ পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়া এড়াতে মধ্যপ্রদেশের ২৭ জন বিধায়ককে ছাঁটাই করেছে বিজেপি ৷ পাশাপাশি গত বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের শীর্ষ প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসেছিলেন শিবরাজ এবং রাজ্য নেতৃত্বারা ৷ সেই তালিকা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অমিত শাহ ৷ কারণ সেই তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে অমিত শাহ বলেছিলেন, তিনবারের বেশি ভোটে যারা জিতেছেন ৷ তারা যেন সেই তালিকায় না থাকে ৷ তাছাড়া বেশ কয়েকজনের নাম রাজ্য নেতৃত্বের তালিকায় স্থান পেয়েছে যাদের নাম সমীক্ষা রিপোর্টে ছিল না ৷