সূত্রের খবর, ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায় (Indrani Mukerjea) সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে একটি চিঠি লিখে দাবি করেছেন, কিছুদিন আগে জেলে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। ওই মহিলা তাঁকে জানিয়েছেন, যে শিনা বোরাকে (Sheena Bora Murder Case) তিনি কাশ্মীরে দেখেছেন। তাই সিবিআইয়ের কাছে ইন্দ্রানীর অনুরোধ, তাঁরা যেন কাশ্মীরে গিয়ে শিনার জন্য তল্লাশি শুরু করেন। শিনা বোরা জীবিত আছেন, এই দাবিতে সিবিআই ডিরেক্টরকে চিঠি লেখার পাশাপাশি বিশেষ সিবিআই আদালতে একটি আর্জিও জানিয়েছেন ইন্দ্রানী। ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়ের দাবিতে যদি বিন্দুমাত্র সত্যতা থাকে, তাহলে শিনা বোরা হত্যাকাণ্ড ভারতের ইতিহাসের অন্যতম চাঞ্চল্যকর মামলা হয়ে থাকবে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'গোয়ার আসল বিকল্প' কারা? তৃণমূল-MGP জোটের পর বার্তা মমতার, ফের কংগ্রেসকে খোঁচা....
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে গোটা দেশে সাড়া ফেলেছিল শিনা বোরা (Sheena Bora Murder Case) হত্যাকাণ্ড। অভিযোগ, সে বছরের ২৪ এপ্রিল একটি গাড়ির মধ্যে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ২৫ বছরের যুবতীকে। শিনা বোরা ছিলেন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় ও তাঁর সঙ্গী সিদ্ধার্থ দাসের মেয়ে। প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না ও চালক শ্যাম রাইয়ের সাহায্যে মুম্বই থেকে অনতিদূরে রায়গড়ের নির্জন জঙ্গলে শিনার দেহ পুড়িয়ে মাটি চাপা দিয়ে দেয় ইন্দ্রাণী৷ তা না হলে ইন্দ্রাণী অনেক আগেই ধরা পড়ে যেত বলে দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের৷
আরও পড়ুন: রাতের আকাশে উল্কাবৃষ্টি! কখন-কীভাবে দেখবেন অপূর্ব এই মহাজাগতিক দৃশ্য?
২০০২ সালে সঞ্জীবের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে পিটার মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন ইন্দ্রানী। প্রথমে পিটারের (Peter Mukerjea) কাছে নাকি নিজের মেয়েকে বোন হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী। শিনার খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ২০১৫ সালে ভিন্ন একটি মামলায় ইন্দ্রানীর গাড়ির চালক শ্যাম রাইয়ের গ্রেপ্তারির পরে। ইন্দ্রানী ছাড়া শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে আরও দুই অভিযুক্ত ইন্দ্রানীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না এবং চালক শ্যাম রাই। সিবিআইয়ের দাবি ছিল, শিনা এবং পিটারের আগের পক্ষের ছেলে রাহুলের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি পিটার এবং ইন্দ্রানী। সেকারণেই শিনাকে খুন করেন ইন্দ্রানী। যদিও এখন ইন্দ্রানী দাবি করছেন, তাঁর মেয়ে জীবিতই আছেন।