মঙ্গলবার বিশেষ সিবিআই আদালত শুনানির সময় ইন্দ্রাণী, পিটার এবং সঞ্জীব খান্নার কথা শোনার পর তাদেরকে নিজ নিজ আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ দেন এবং বলেন, তারা নিজেরা আত্মপক্ষ সমর্থনে কিছু বলতে চাইলে বলতে পারে ৷ এরপর পিটার মুখোপাধ্যায় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পরবর্তী শুনানির দিন আত্মপক্ষ সমর্থনে নথি পেশ করার আবেদন জানান ৷ কিন্তু বিচারক জানান, মামলার জন্য সংগৃহীত সমস্ত তথ্যপ্রমাণ ও নথি জমা পড়ার পরই সে সুযোগ দেবে আদালত ৷ পয়লা ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৷
advertisement
শিনা ভোরা হাইপ্রোফাইল হত্যাকাণ্ড গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে ৷ ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর নিজের মেয়ে শিনা বোরাকেই খুন করার অভিযোগ ওঠে ৷ এই খুনে প্রত্যক্ষভাবে তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না ও ড্রাইভার শ্যাম রাই ৷ ইন্দ্রাণীর স্বামী মিডিয়া ব্যারণ পিটার মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও এই হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে ৷ উল্লেখ্য, অতীত লুকানোর জন্য শিনাকে বরাবর নিজের বোন হিসেবে পরিচয় দিত ইন্দ্রাণী ৷
২০১২ সালের এপ্রিল মাসে ২৪ বছরের শিনাকে গাড়ির মধ্যে গলা টিপে খুন করে হত্যা করা হয়। তারপর খুনের একদিন বাদে তাঁর দেহ মুম্বই থেকে ৮৪ কিমি দূরে রায়গড়ের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে মাটির তলায় পুঁতে ফেলা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার প্রথমে মুম্বই পুলিশের হাতে ছিল। ২০১৫-এর শেষেরদিকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে।
মুম্বইয়ের এক সুপারি কিলার বিজয় পালান্দের গ্রেফতারির পরই প্রকাশ্যে আসে হাইপ্রোফাইল শিনা বোরা হত্যাকাণ্ড ৷ মেয়ে শিনাকে গাড়িতে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করে জঙ্গলে দেহ পুড়িয়ে দিয়ে এসেছিল মা ও তার প্রাক্তন স্বামী। ঘটনার ৩ বছর পর খুনের ঘটনায় পর্দা উঠল।
সম্পত্তির ভাগ নিশ্চিত করতেই প্রথম পক্ষের মেয়ে শিনা বোরাকে খুন করেন তিনি। দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী সঞ্জীব খান্না ছাড়াও খুনে যুক্ত ছিল ইন্দ্রাণীর গাড়ির চালক শ্যাম রাই। মেয়ে হলেও শিনাকে বোন বলেই পরিচয় দিতেন ইন্দ্রাণী। খুনের জড়িত সন্দেহে ইন্দ্রাণীর বর্তমান স্বামী মিডিয়া ব্যারণ পিটারকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।