রাজস্থানের জয়পুরে একটি অনুষ্ঠানে শশী থারুর বলেছেন, "আজ আমাদের দেশের সরকার সফলভাবে সংসদকে রবার স্ট্যাম্প এবং নোটিস বোর্ডে পরিণত করতে পেরেছে। এখন সংসদ ভবন শুধু একটু নোটিস বোর্ড যেখানে জানানো হয় সরকার কী চায়। রবার স্ট্যাম্প কারণ, ক্যাবিনেটে যেভাবে পাস হয় সেভাবেই নিজেদের ইচ্ছামত বিলগুলি পাস করায়।"
আরও পড়ুন: 'আমার পূর্বপুরুষরা এখানকার, মনে হচ্ছে বাড়ি ফিরছি,' জম্মু-কাশ্মীরে বললেন রাহুল
advertisement
একই অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, " জওহরলাল নেহেরুর সময়ে প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করতে পারতেন বিরোধীরা। আমরা দেখেছি, পিছনের আসনে বসে থাকা কংগ্রেস সাংসদদের চাপে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। ১৯৬২ সালে চিন যুদ্ধের দায় নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শীতকালীন অধিবেশনে চিন নিয়ে প্রথম থেকে আলোচনার দাবি জানায় বিরোধীরা। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার রাজি না হওয়ায় ঝড় ওঠে সংসদের উভয় কক্ষে। বার বার নোটিস দিলেই তা খারিজ হয়ে যায়। বিরোধীদের আনা সমস্ত প্রস্তাবই পত্রপাঠ খারিজ করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। জানানো হয়, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে এই প্রস্তাব আনা হয়নি, তাই তা পাশ করাও সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: হারা আসন জিতেতে মহড়া শুরু বাংলায়, নাড্ডা পর রাজ্যে আসছেন শাহ
এর পরেই, ধনখড়ের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কক্ষত্যাগ করেন কংগ্রেস সহ অন্য বিরোধী দলের সাংসদেরা। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এ প্রসঙ্গে বলেন, "চিন আমাদের জমি দখল করে নিচ্ছে, সেতু বানাচ্ছে, বাড়ি বানাচ্ছে। আমরা যদি এখন এই অনুপ্রবেশ নিয়ে আলোচনা না করি, তাহলে কখন করব?"
কক্ষত্যাগ নিয়ে অবশ্য বিরোধীদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তাঁর দাবি, "বিরোধীরা এ ভাবে রাজ্যসভার কক্ষত্যাগ করলে ভারতীয় সেনার মনোবল ভেঙে যায়। বিরোধীদের উচিত সংসদের কাজে সহায়তা করা।" এছাড়া, কোনও নিয়ম নীতি না মেনেই বিরোধীরা প্রস্তাব এনেছিলেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।