দিন কয়েক আগেই টাটাদের সিঙ্গুর ছাড়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, সিঙ্গুর থেকে টাটাদের তাড়িয়েছে সিপিআইএম। এদিন শশী পাঁজা জানান, সিঙ্গুরে টাটাদের ফেলে যাওয়া জমিতে ক্ষুদ্র শিল্প গড়ার জন্য অনেক আবেদন আসছে।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় অবদান, মমতাকে ডি লিট সম্মান দিচ্ছে সেন্ট জেভিয়ার্স
advertisement
সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে শশী পাঁজা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যেমনটা বলেছেন তেমনটাই হবে। রাজ্য সরকার কৃষি জমিতে শিল্প গড়ার বিরুদ্ধে। তবে উপযুক্ত জমিতে শিল্প গড়তে কোনও বাধা নেই। তিনি আরও জানান, সিঙ্গুরে শিল্প গড়তে আগ্রহী বেশ কিছু ছোট ও মাঝারি সংস্থা। সেগুলি রাজ্যের শিল্প দফতের বিবেচনা করছে বলে জানান রাজ্যের মন্ত্রী।
মন্ত্রীর আরও দাবি, পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর হবে। রাজ্য সরকার পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্রের অপেক্ষা করছে। তবে এতে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও ভূমিকা নেই বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মমতার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম শুভেন্দুর! 'কেমন আছিস', জানতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রীও
রাজ্যের উন্নয়ন এবং কর্ম সংস্কৃতির প্রসঙ্গ তুলে তিনি জানান, বাংলায় কর্ম সংস্কৃতি ফিরিয়ে এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, আগে রাজ্যে ছিল লোডশেডিং সরকার। এখন সেই সমস্যা নেই বলেই দাবি মন্ত্রীর। তাঁর কথায়, এখন রাজ্যে বিদ্যুতের অভাব নেই। রাজ্যের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির খতিয়ান তুলে তিনি জানান, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যের জিডিপি বৃদ্ধি ২২১.৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যা প্রায় ২০১০-১১ অর্থবর্ষের তুলনায় ৩.৭ গুণ বেশি। ২০১০-১১ অর্থবর্ষে রাজ্যের জিডিপি ছিল ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এমন কি, করোনা অতিমারির সময়েও রাজ্যে সার্বিক বৃদ্ধির হার ভাল জায়গায় ছিল বলে জানিয়েছেন শশী পাঁজা।