দলে বিভক্তির পর থেকে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছিলই। তবে ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নিয়ে মানুষের মনে বেশ কিছু প্রশ্ন ছিল। শরদ পাওয়ার বলেন, “কী হবে তা নিয়ে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন ছিল। অনেক সময় মহারাষ্ট্রের উন্নয়নের স্বার্থে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়।” শরদ পাওয়ার আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, স্থানীয় পর্যায়ে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা ইতিমধ্যেই চলছে এবং শীঘ্রই একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে। তিনি জানান, “আমি এখানকার নেতাদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করেছি, এবং তাও শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।” দলীয় কর্মীদের প্রচারে মনোনিবেশ করায় এবং জোটের সম্ভাবনার ক্ষতি করতে পারে এমন সমাবেশে কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
advertisement
২০২৩ সালের ২ জুলাই এনসিপিতে বিদ্রোহ ঘটিয়ে বিজেপির হাত ধরেন অজিত। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা এবং বিজেপির জোট সরকারের শরিক হয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী হন। বদলে যায় সমীকরণ। এনসিপির নিয়ন্ত্রণ যায় অজিত পাওয়ারের হাতেই। শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি পরিচিত হয় এনসিপি (শরদচন্দ্র পওয়ার) নামে। প্রতীক হারিয়েও ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে শরদ জিতেছিলেন আটটি আসনে। অজিতের দল জিতেছিল মাত্র একটি আসনে। লোকসভা ভোটের ছ’মাসের মাথাতেই ফের ঘুরে যায় সমীকরণ। মরাঠা রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন ঘটে অজিতের। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় অজিতের। এরপরেই শরদ-অজিত ঐক্য ঘিরে আলোচনা শুরু হয়।
