মুসকানের হঠাৎ নিখোঁজ হওয়ার পর তার কাকা নূর হাসান পুলিশের কাছে রিজওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তের সময়, রবিবার, পুলিশি জেরায় রিজওয়ান খুনের দায় স্বীকার করে।
আরও পড়ুন: কথা ছিল মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যেই বাড়িতে ফিরবেন! যমুনার খালে সেই যুবকের দেহ মিলল ৫ দিন পর…
শামলির এসপি (সিটি) অমিত কিশোর শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, “রিজওয়ান তার দুই সহযোগী, রাধেশ্যাম ও রাম অবতারকে ৭০-৭০ হাজার টাকা দেয় মুসকানকে খুন করার জন্য। তারা মুসকানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং মৃতদেহ নারাউ অঞ্চলে কবর দেয়।”
advertisement
ঘটনার প্রমাণ লুকানোর জন্য, রিজওয়ান ইচ্ছাকৃতভাবে ২৭ দিন জেলে কাটায়। পরে তদন্তের পর পুলিশ রিজওয়ান ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে হত্যা ও প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগে ভারতীয় আইন (BNS) ধারা ১০৩-এর অধীনে মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে মর্মান্তিক ঘটনা! ১৫ বছরের নাবালকের গাড়ি পিষে দিল ২ বছরের শিশুকে…
রিজওয়ান মূলত বদায়ুঁ জেলার উঝানি এলাকার বাসিন্দা। চার বছর আগে সে মুসকানের সঙ্গে বিয়ে করেছিল। তার প্রথম স্ত্রী জয়নবের চরম আপত্তির কারণে, সে দুই স্ত্রীর জন্য আলাদা বাড়ির ব্যবস্থা করেছিল।
সব ঠিকঠাকই এগোচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎই শুরু হয় সমস্যা৷ ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক সংকটে ভুগতে শুরু করেন রিজওয়ান৷ তার ও মুসকানের তিন বছরের একটি সন্তান ছিল।
জানা গিয়েছে, টাকা পয়সার সমস্যা নিয়েই যাবতীয় সমস্যার শুরু৷ পুলিশের খবর অনুযায়ী, রিজওয়ান মুসকানকে মাসিক ১০,০০০ টাকা খরচ দিত, কিন্তু মুস্কান তার সন্তানের লালনপালনের জন্য ৪০,০০০ টাকা দাবি করেছিল। এই কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই বিবাদ হত। একপর্যায়ে রিজওয়ান মুসকানকে খুনের সিদ্ধান্ত নেয়।
কিন্তু এর পরিণতি এমন হবে সেটা আর কে আশা করেছিল৷