TRENDING:

ভারতে সেক্স টয়ের চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু সরকারি অফিস বলছে অশালীন

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: ভারতে দিন দিন চাহিদা বাড়ছে সেক্স টয়। অনলাইনে এ সমস্ত সেক্স টয় বিপুল পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতীকী ছবি ৷
প্রতীকী ছবি ৷
advertisement

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ অর্ডার এসেছে ছোট শহরগুলি থেকে। অনলাইন পোর্টালগুলির অনুমান এই বিক্রি আরও বাড়তে পারে।

তবে এর মাঝে এসেছে অন্য আরও একটি খবর ৷ ভারতীয় বাজারে স্থানীয়ভাবে তৈরি ভাইব্রেটার বিক্রি মোকাবেলা করার জন্য অন্টারিও-ভিত্তিক একটি কোম্পানি পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু ভারতের পেটেন্ট কর্তৃপক্ষ কানাডায় নির্মিত একটি ভাইব্রেটার বা যৌন কাজে ব্যবহৃত কম্পনযন্ত্রকে পেটেন্ট দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এই বলে যে, সেক্স টয় বা যৌন খেলনা নৈতিক বিকৃতির পথ সুগম করে।

advertisement

পেটেন্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, যৌন খেলনা বেআইনি এবং অশালীন। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশের আইন কখনওই যৌন আনন্দের ভাবনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে না।

তবে ভারতে ২০১১ সালে আদালতের দেওয়া এক আদেশে বলা হয়েছিল যে সেক্স টয়কে অশালীন বস্তু হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।

অন্টারিও-ভিত্তিক ওই কোম্পানিটির নাম স্ট্যান্ডার্ড ইনোভেশন কর্পোরেশন। তাদের নতুন আবিষ্কৃত একটি ভাইব্রেটারের পেটেন্টের জন্যে তারা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিল যাতে স্থানীয়ভাবে এর নকল তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতে না পারে – বলেছেন ভারতের ন্যাশনাল ল স্কুলের একজন অধ্যাপক শামনাদ বশির। জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত আইন নিয়ে একটি বই লিখছেন তিনি।

advertisement

পেটেন্ট অফিস গত এপ্রিল মাসে পেটেন্টের আবেদন বাতিল করে দেয়। ভাইব্রেটারকে ‘অশ্লীল’ উল্লেখ করে পেটেন্ট অফিস থেকে বলা হয়, “সেক্স টয়ের কারণে মানুষের নৈতিক বিকৃতি ঘটতে পারে।”

“এসব এমন খেলনা যা প্রয়োজনীয় নয়, উৎপাদনশীলও নয়। বরং ভারতীয় আইনে এসব খেলনাকে নৈতিক বিকৃতির কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে,” বলছে ভারতীয় পেটেন্টে অফিস।

advertisement

“আইনে সেক্স টয়কে নেতিবাচক হিসেবে দেখা হয়েছে এবং যৌন আনন্দ পাওয়ার ব্যাপারেও এর ইতিবাচক কোন ভূমিকা নেই।”

পেটেন্ট অফিসের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি আপিল আবেদন বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে অমীমাংসিত অবস্থায় রয়েছে।

“পেটেন্ট অফিস কেন নৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে? সেখানে কর্মকর্তাদেরকে কারিগরি বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাই কোনো আবিষ্কার নৈতিক না অনৈতিক সেবিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়,” বলেন মি. বশির।

advertisement

ভারতে সাধারণত অনলাইনে সেক্স টয় বিক্রি হয়। কালোবাজারে এসব খেলনার বিক্রিও বাড়ছে বলে সংবাদদাতারা জানিয়েছেন।

ভারতে অনলাইনে সেক্স টয় বিক্রি করে এরকম একটি স্টোর গত বছর একটি জরিপ চালিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, যারা সেক্স টয় কেনেন তাদের ৬২ শতাংশ পুরুষ এবং বাকি ৩৮ শতাংশ নারী।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
ভারতে সেক্স টয়ের চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু সরকারি অফিস বলছে অশালীন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল