সম্প্রতি যোশীমঠে শুরু হয়েছে প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা৷ সেখানে একের পর এক বাড়ি ও নির্মাণে ফাটল ধরেছে বড় বড়৷ কোথাও কোথাও সেই ফাটল থেকে বেরিয়ে এসেছে জল৷ ইতিমধ্যে সমস্ত নতুন নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে যোশীমঠের পুর কর্তৃপক্ষ৷ বিজ্ঞানী সাঁই জানিয়েছেন, ‘‘এই অঞ্চল আসলে একটি পূর্বতন ধসের ধ্বংসস্তুপের উপর তৈরি৷ সেই কারণে এটির ভূমির কাঠিণ্য তেমন নয়৷ এ ছাড়া ভৌগলিক অঞ্চল ভেদে এটি সিজমিক জোন ৫-এর পড়ে৷ এখানে ভূমিকম্পের বিপুল সম্ভাবনা থাকে৷ সব মিলিয়ে এখন এই শহরের টেকা মুশকিল৷’’
advertisement
আরও পড়ুন: নজিরবিহীন! সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন ফাঁস আটকাতে মাধ্যমিক নিয়ে বড় পদক্ষেপ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের
আরও পড়ুন: ক্লাসে ব্ল্যাকবোর্ডের জায়গা নিয়েছে স্মার্ট কম্পিউটার, জেলার মধ্যে প্রথম স্মার্ট সরকারি স্কুল
তবে আজকে নয়, দীর্ঘদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি মিশ্র কমিটিও একই কথা বলেছিল৷ বলেছিল উত্তরাখণ্ডে হিমালয়ের এই অংশে নির্মাণকার্য কম করে করতে৷ কিন্তু অতিবুদ্ধিমান ও সভ্যতার দৌড়ে দিগভ্রান্ত মানুষ সে কথা শোনেনি৷ তারই ফল ভুগতে হচ্ছে এখন৷ বিজ্ঞানী সাঁই এর সংস্থা এর আগেও একাধিকবার দাবি করেছেন, এই অংশ ভঙ্গুর৷ ভৌগলিক পরিভাষায় ইন্ডিয়ান প্লেট ক্রমাগত চলে যাচ্ছে ইউরেশিয়ান প্লেটের তলায়, এই প্লেটের মুভমেন্টের কারণে এই অংশ হচ্ছে ভূমিকম্পপ্রবণ৷
উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় ছ’হাজার ফুট উচ্চতায় এই শহর৷ বিজ্ঞানী সাঁই বলছেন, ‘‘ভূগর্ভীয় নানারকম কার্যকলাপের কারণে এই অংশ এমনিতেই নড়বড়ে৷ উচ্চ-মাত্রার চাপ এই অংশগুলিতে বছরের পর বছর জমা হয়েছে৷ সেগুলি কখনও ভূমিকম্প বা ধসের মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত হয়ে পড়ে৷ আর সেই কারণেই এই এলাকা ধসপ্রবণ৷’’
কী করে এর থেকে মু্ক্তি? তিনি বলছেন, ‘‘যোশীমঠের গোটা শহর পরিকল্পনা পাল্টে ফেলতে হবে৷ যে কাঁচামাল দিয়ে এখানে বাড়ি তৈরি হয়, সেই কাঁচামাল বদলাতে হবে৷ যে ভাবে প্রাকৃতিক জলভাণ্ডার থেকে জল সংগ্রহ করা হয়, তার পদ্ধতি বদলাতে হবে, বদলাতে হবে নিকাষি ব্যবস্থাও৷’’