এদিকে আজও শুনানিতে উঠল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ। এদিন আদালতে বিষয়টি তোলেন আইনজীবী মুকুল রোহতাগি। তিনি জানান, আদালতের নির্দেশ সত্বেও কাজে যোগ দিতে পারেননি চাকরি হারা শিক্ষকরা। স্কুলের তরফে তাঁদের জানানো হয়েছে, এ ব্যাপারে তাদের কাছে কোনও নির্দেশ আসেনি। মুকুল রোহতাগি প্রশ্ন তোলেন, " এটা কীভাবে হতে পারে?"
advertisement
আরও পড়ুন: একসঙ্গে ৩২ তৃণমূল নেতার ইস্তফা! অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রার মধ্যে বিরাট চাপে শাসক দল
মাস ছয়েক আগে একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের চাকরি যাবে। এসএসসি সহ শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ তাঁর নির্দেশের সূত্রেই তদন্তে নেমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে ইডি৷ সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এস পি সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্যদের মতো সরকারি পদে থাকা প্রাক্তন ও বর্তমান শীর্ষ কর্তারা৷ চাকরি খুইয়েছেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী৷
আরও পড়ুন: দিঘা যাওয়ার রাস্তায় ভোররাতে কী মারাত্মক ঘটনা! পুড়ে মৃত্যু চালকের, কারণ শুনলে আঁতকে উঠবেন
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, দুর্নীতির সঙ্গে কোনওরকম আপোস তিনি করবেন না৷ শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে বড়সড় বেনিয়ম হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত হয়েই পরের পর মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, 'মুড়ি মুড়কির মতো দুর্নীতি হয়েছে বলেই মুড়ি মুড়কির মতো সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি৷' এদিকে ২০১৪-এর টেটের ভিত্তিতে ২০১৬-২০১৭, ২০১৮ সালে রাজ্যজুড়ে যে সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়োগ করা হয়েছিল, এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে সেই সব তালিকা চেয়ে পাঠাল সিবিআই। সিবিআইয়ের পাঠানো চিঠিতে জেলাভিত্তিক তালিকাও চেয়ে পাঠানো হয়েছে।