অর্থাৎ স্পষ্ট করে, ইডিকে প্রায় যাবতীয় ছাড়পত্র দিয়ে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। পিএমএলএ আইনের আওতায় ইডির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছিল এ বিষয়ে। তার বেশির ভাগই বুধবার খারিজ হয়ে গিয়েছে বিচারপতি এএম খানউইলকরের বেঞ্চে। গতকালই সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের একটি তথ্য দেখিয়ে দিয়েছে, মোদি সরকারের আমলে কতটা প্রবল ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইডি।
advertisement
আরও পড়ুন: বেলঘরিয়ায় অর্পিতার ফ্ল্যাটে তালা ভেঙে ঢুকল ইডি, তল্লাশি চলছে বালিগঞ্জেও
ইডির বিরুদ্ধে আবেদনকারীদের সওয়াল ছিল, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে গ্রেফতারির কারণ না জানিয়ে গ্রেফতার করা করা যায় না, এটা অসাংবিধানিক। বুধবার বিচারপতি এএম খানউইলকরের বেঞ্চ যাবতীয় আর্জি খারিজ করে দেয়।
আরও পড়ুন: 'মন্ত্রিত্ব ছাড়বেন?' সংক্ষিপ্ত জবাবে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন পার্থ
বিরোধীদের অভিযোগ, যারাই বিরোধী তাঁদের বিরুদ্ধে ইডিকে ব্যবহার করছে মোদি সরকার। সংসদে পেশ হওয়া কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তথ্য বলছে, নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার আগের নয় বছরে ইডি মাত্র ১১২টি তল্লাশি চালিয়েছিল। আর গত আট বছরে ইডি তল্লাশি চালিয়েছে ৩,০১০টি। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকও জানিয়েছে, ২০১৪-১৫ থেকে ২০২১-২২, এই আট বছরে ইডি ৩,০১০টি তল্লাশি চালিয়ে ৯৯,৩৫৬ কোটি টাকার অর্থ ও সম্পত্তি আটক করেছে।
অর্থ মন্ত্রকের দাবি, তল্লাশির সংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পাওয়া থেকেই প্রমাণিত, আর্থিক নয়ছয় আটকানোর প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকারের। বেআইনি লেনদেনের খোঁজ পেতে গোয়েন্দা ব্যবস্থারও উন্নতি হয়েছে, তা-ও স্পষ্ট। সুপ্রিম কোর্টের বুধবারের রায় ইডিকে সেই বিষয়ে বড় জয় দিল বলেই মত ওয়াকিবহল মহল।