সাধারণ অঙ্কেই বোঝা যাচ্ছে, কংগ্রেসের পক্ষে সরকার ধরে রাখা প্রায় অসম্ভব। তাই হার এড়াতেই আগে থেকে কমলনাথ পদত্যাগ করলেন। পদত্যাগ করে অবশ্য তিনি বলেছেন, 'সারাজীবন মূল্যবোধের রাজনীতি করেছি৷ বিজেপি কোনওদিনও সফল হবে না৷ পদত্যাগ করার জন্য বিধায়কদের উপরে কী চাপ ছিল, সময় এলেই তা জানা যাবে৷ আপাতত আমি পদত্যাগ করছি৷'
advertisement
এদিকে খবর পাওয়া গিয়েছে বিজেপির এক বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। শরদ কুমার নামে ওই বিজেপি বিধায়কের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বিধানসভার অধক্ষ্য। আলাদা করে সেহোরে আজ আলোচনায় বসেছে বিজেপি। সেখানে রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, রয়েছে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সহ অনেকেই। থেমে নেই কংগ্রেসও। গতকাল রাতেই পর পর তিনটি আলাদা মিটিং করেছে কংগ্রেসও। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। তাই আর পথ পাননি কমল নাথ। আস্থাভোটের আগেই পদত্যাগ করতে এককথায় বাধ্য হন তিনি । জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া শিবির বদলের পরে আখেরে গেরুয়া শিবিরের লাভ হয়েছে নাকি কমলনাথ সরকারই শক্তি ধরে রাখতে পারছে, তার দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার বিকেলেই। কিন্তু কমলের পদত্যাগে আগেই স্পষ্ট হয়ে গেল, কংগ্রেসের শক্তি নেই, শক্তিশালী বিজেপি। জ্যোতিরাদিত্যই দলবদল এককথায় বিজেপিকে চালকের আসনে বসিয়ে দিয়েছে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তৈরি ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় দ্রুত বিধানসভার অধিবেশন শুরু করতে। এই নিয়ে বিধানসভার অধক্ষ্য এনপি প্রজাপতিকে আদেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এমনকি বিদ্রোহী বিধায়করা আস্থা ভোটে আসতে চাইলে তাঁদেরও নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলে শীর্ষ আদালত। আদালতের রায়ের পরেই কিছুটা হত্যদম হয়ে পড়ে কমল নাথ সরকার। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইটারে লেখেন, আমরা আগে আদালতের নির্দেশের সমস্ত প্রতিলিপি মন দিয়ে পড়ব। তারপর সিদ্ধান্ত নেব কী করা হবে, কী না। এই নিয়ে আইনি পরামর্শ নিয়েই যা পদক্ষেপ করার করা হবে। অন্যদিকে বিজেপি আদালতের রায় নিয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে। প্রকাশ্যে রায়ের সমর্থনেই দাঁড়ায় গেরুয়া শিবির।