মোহন ভাগবত এদিন বলেন, "বহু মানুষই হিন্দুত্বের কথা বলেছেন এবং ভারতীয় সমাজে ঐক্যের কথা বলেছেন। ফারাক এই যে সাভারকার কথাটা বলেছিল জোরের সঙ্গে। এবং যত সময় যাচ্ছে তত মনে হচ্ছে সকলেই যদি জোরের সঙ্গে এই কথাটা বলতেন তাহলে ভারত ভাগ হতো না। মোহন ভাগবত এর বক্তব্য, ভারত ভাগের পর যে মুসলমানরা পাকিস্তান এগিয়ে রয়েছেন তাদের কোনও সম্মান নেই সে দেশে। কারণ আদতে তাঁরা ভারতীয় এবং এই সত্য বদলাবে না।"
advertisement
আরও পড়ুন-শোভাবাজার রাজবাড়িতে ঐতিহ্যের মহাষ্টমী, ঠাকুরদালানে রীতি মেনে শুরু পুজো...
হিন্দু মুসলিম ঐক্য বিষয়ে মোহন ভাগবত বলছেন, "আমাদের পূর্বপুরুষরা একই। শুধু আমাদের পুজোর রীতিগুলি আলাদা। আমরা আমাদের মুক্তমনা সনাতন ধর্মের জন্য গর্বিত। আমাদের ধর্মীয় বোধই আমাদের একত্রে থাকার অভিজ্ঞান।"
মোহন ভাগবত আরও বলছেন, "বিবেকানন্দর হিন্দুত্ব এবং বীর সাভারকারের হিন্দুত্বে কোনও ফারাক নেই। দুজনেই সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের কথা বলেছেন।"
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিং-ও। আরও এক ধাপ এগিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর রাজনাথ সিং বলেন, "মহাত্মা গান্ধীর কথায় সেদিন সাভারকার ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন ব্রিটিশ সরকারের কাছে। মার্ক্সিস্ট এবং লেনিনিস্টরা তাঁকে জেনে-বুঝেই ফ্যাসিস্টদের তকমা দিয়েছে। সাভারকার আসলে একজন জাতীয় আইকন।" দেশের প্রথম প্রতিরক্ষা কৌশলী তিনি, বলছেন রাজনাথ সিং।
রাজনাথের কথায়, "সাভারকারের সঙ্গে মতপার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু তাতে তার ইমেজ খাটো হয়না। তিনি একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং জাতীয়তাবাদী।"
-Input PTI