সৌগত রায় বলেন, সিবিআই দাবি করেছে লালন শেখ আত্মহত্যা করেছেন, যদিও তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দেয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই কয়েকজন সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে রাজ্যের সিআইডি।
আরও পড়ুন: 'কাল ২১ ডিসেম্বর, সবাই সাবধানে বাড়ি থেকে বেরোন!' হঠাৎ সতর্ক করলেন কুণাল
advertisement
দিন দু'য়েক আগে লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে সিবিআইকে ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করতে গিয়ে লালন শেখের মৃত্যু প্রসঙ্গ টেনে আনেন সিবিআই আইনজীবী ডি পি সিং। সেই প্রসঙ্গেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির মন্তব্য ছিল, "বিচারাধীন বন্দিদের উপরে নজর রাখা কি আপনাদের কর্তব্য নয়?"
অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে বগটুই কাণ্ডের অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর প্রসঙ্গ তোলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। আইনজীবী ডি পি সিং ডিভিশন বেঞ্চের সামনে সওয়াল করেন, "বগটুই মামলার সঙ্গে যুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর পরে এই মামলার তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাই এই ব্যক্তির (অনুব্রত) জামিন দেওয়া যাবে না।"
আরও পড়ুন: কম্বল বিতরণ কাণ্ডে 'রক্ষাকবচ' চেয়ে হাইকোর্টে চৈতালি তিওয়ারি! আদালতে জানালেন 'এই' আর্জিও
এরপরেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি কড়া ভাষায় সিবিআইয়ের সমালোচনা করে বলেন, "একজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে সিবিআই হেফাজতে। আত্মহত্যা বলছেন। সেটা কি স্বাভাবিক মৃত্যু? যে কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে এফআইআর নিশ্চিত জরুরি। বিচারাধীন বন্দির উপরে নজর রাখা আপনাদের কর্তব্য নয়? অন্যদের দোষ দিচ্ছেন?"
গত ১২ ডিসেম্বর রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্য়াম্পের শৌচাগারে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের দেহ। বিচারাধীন অবস্থায় বন্দিমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই যথেষ্ট অস্বস্তিতে সিবিআই। এই ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেছে সিআইডি।
বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত, তথা লালনের মৃত্যুর সময় সিবিআই ক্য়াম্পে উপস্থিত থাকা জাহাঙ্গির শেখকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। এছাড়া, সিআইডির তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলেও গিয়ে সব কিছু সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন। ইতিমধ্যে বগটুইয়ে গিয়েছে সিআইডি-র তদন্তকারী দল।