দুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই খবর জানিয়েছেন খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিকাশ গুপ্ত। এর আগে কেন্দ্রীয় পাঠ্যসূচি থেকে মোঘল যুগ বাদ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি।
advertisement
আরও পড়ুন: যারা করলেন কনভয়ে হামলা, সেই কুড়মিদের নিয়ে বিরাট নির্দেশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের!
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মডার্ন ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল থট’ অধ্যায়টি বিএ-র ষষ্ঠ সেমেস্টারে পড়ানো হত। এর মধ্যেই ছিল ইকবালের জীবনী এবং সাহিত্য রচনা সম্পর্কিত ‘ইকবাল: কমিউনিটি’ শীর্ষক অধ্যায়টি। সেই অধ্যায়টি বাদ দেওয়ার কথা হয়েছে বলে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। এই সিদ্ধান্তকে এবিভিপি স্বাগতও জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ধর, ধর, ধর…’ পিছনে ছুটল BSF, পড়ে রইল দুটি ব্যাগ, যা মিলল, চক্ষু চড়কগাছ সকলের
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রমের এই ষষ্ঠ সেমেস্টারের সিলেবাসে আছে রাজা রামমোহন রায়, পণ্ডিত রমাবাই, স্বামী বিবেকানন্দ, মহাত্মা গান্ধি, ইকবাল এবং বি আর অম্বেদকরের জীবনী। ১৮৭৭ সালে অবিভক্ত ভারতের শিয়ালকোটে (বর্তমানে পাকিস্তানে) জন্ম মুহাম্মদ ইকবালের। তাঁর মৃত্যু ১৯৩৮ সালে। পাকিস্তানের জাতীয় কবি তিনি। তাঁকে পাকিস্তানের ‘ফিলোজফিক্যাল ফাদার’ বলা হয়। ১৯০৪ সালে ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা হিন্দুস্থান হামারা’ গানটি লেখেন কবি ইকবাল। গানটি ভারতেও ভীষণভাবে সমাদৃত হয়। কিন্তু এবার সিলেবাস থেকেই তাঁর জীবনী বাদ দেওয়ার তোড়জোড় চলছে।