কিন্তু আপনারা কি জানেন আমির খান (Aamir Khan) এবং করিশমা কাপুরের (Karisma Kapoor) রাজা হিন্দুস্থানির (Raja Hindustan) স্ক্রিনিংয়ে ঐশ্বর্যের সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় বনশালির? আর প্রথম সাক্ষাতেই ঐশ্বর্যর চোখের দ্যুতিতে মুগ্ধ হয়েছিলেন পরিচালক?
ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বনশালি বলেছিলেন, ‘ওর চোখের মধ্যে কিছু একটা ছিল। ওটাই তো সৌন্দর্যের সব চেয়ে জরুরি বিষয়। ওর চোখ দুটো সাধারণ নয়। ওর চোখে এতটাই শক্তি রয়েছে যে, যদি আপনি ওকে কোনও সংলাপ নাও দেন- তাহলেও ওর চোখ কথা বলে। এই ধরনের চোখ রয়েছে কেবল দেবী শক্তির।" বনশালি আরো সংযোজন করেন, হেমা মালিনীর (Hema Malini) কিংবা লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) মতো ঐশ্বর্যের চোখও একেবারে অন্যরকম। "অপরূপ রঙিন এই ধরনের চোখের দ্যুতি যেন প্রকৃতির দান।" এই ভাবেই রাজা হিন্দুস্তানির স্ক্রিনিংয়ে প্রথম দেখাতে অভিনেত্রীর চোখেই আকর্ষিত হয়েছিলেন বনশালি।
advertisement
বনশালি আরও জানান, লবিতে পরিচালককে দেখে নিজেই আলাপ করবার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন ঐশ্বর্য। নিজের পরিচয় দিয়ে তিনি বনশালিকে বলেছিলেন যে পরিচালকের খামোশি (Khamoshi) সিনেমাটি তাঁর খুবই ভালো লেগেছে। ঠিক তখনই হম দিল দে চুকে সনমের অভিনেত্রী হিসাবে ঐশ্বর্যকে খুঁজে পেয়েছিলেন বলে জানান বনশালি। তিনি বলেন, ‘আমাদের হাত মিলেছিল, চোখ মিলেছিল। ওর চোখে আমি আগুন দেখেছিলাম। সেই সময় আমি আমার নন্দিনীকে খুঁজছিলাম। এই মুহূর্তেই আমি নিজেকে বলেছিলাম ইনি তো আমার নন্দিনী।" যদিও ঐশ্বর্যকে ভারতীয় লুকের তুলনায় পশ্চিমি লুকে বেশি মানায়, তাই নন্দিনীর চরিত্রে অভিনেত্রীকে তেমন মানাবে না বলে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু নিজের অভিনেত্রী বাছাই নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন পরিচালক। চুলে খোঁপা বেঁধে একেবারে ঐতিহ্যবাহী লুকে দর্শকের সামনে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে উপস্থাপন করেছিলেন বনশালি।
প্রসঙ্গত, ১৮ জুন, হম দিল দে চুকে সনম মুক্তির ২২ বছর পুর্ণ হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সিনেমাটির তিনজন প্রধান অভিনেতা-অভিনেত্রী নিজেদের স্মৃতি শেয়ার করেন। অভিনেতা অজয় দেবগণ (Ajay Devgn) সেটের কিছু ছবি শেয়ার করে লেখেন, "হম দিল দে চুকে সনমের ২২ বছর; সলমন, অ্যাশ এবং আমি জানতাম যে আমরা একটি অতি-সংবেদনশীল সিনেমা করছি। যদিও সেটি যে ইতিহাস তৈরি তা ভাবতে পারিনি।"
