প্রধান শাসকদল এনপিপি ২৬টি আসনে জিতেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার ‘জাদু সংখ্যা’ ৩১-এর কাছে পৌঁছে গিয়েছে। ২টি আসনে জেতা বিজেপিও যে সেই সরকারকে সমর্থন জানাচ্ছে তা আগেই স্পষ্ট হয়েছে এনপিপি প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার সঙ্গে অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বৈঠকে। প্রসঙ্গত, ১৯৯২-৯৮, ২০০৩-০৮ এবং ২০১০-১৮ কংগ্রেসের নেতৃত্বে জোটের সরকার ছিল মেঘালয়ে। ২০১৮-র নির্বাচনে কংগ্রেস হারলেও ২১টি আসন পেয়ে বৃহত্তম দল হয়েছিল। ২০টি আসনে জিতে দ্বিতীয় হয় এনপিপি। এর পর ইউডিপির ৬, পিডিএফের ৪ এবং ২ জন করে এইচএসপিডিপি, বিজেপি ও নির্দল বিধায়কের সমর্থনে সরকার গড়েছিলেন কনরাড।
advertisement
আরও পড়ুন- গাড়ি তো নয়, যেন খাঁটি লোহা! পারিবারিক ছুটিতে যাওয়ার জন্য একেবারে আদর্শ টাটার এই চারচাকা
বিজেপি আগেই অভিযোগ করেছিল, কনরাড যে সমস্ত স্কিমের ভিত্তিতে নিজের সাফল্যের কথা বলছেন, তার সম্পূর্ণটাই কেন্দ্রীয় স্কিম। শেষ ৫ বছরে দরিদ্ররা দরিদ্রই রয়েছে, বহু সুযোগ সুবিধা পায়নি, যুবকদের জন্য কোনও কর্মসংস্থান নেই। কনরাডের দল এনপিপি, বিজেপির সমর্থকদের ব্যবহার করে অনেক রকমের সুবিধা পেয়েছে। আর্নেস্ট মাওরি আরও দাবি করেছিলেন, রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি দুর্দান্ত ফল করতে চলেছে।
তিনি বলেছিলেন, “ রাজ্যের ৬০টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছি। আমরা ভাল ফলের প্রত্যাশা করছি। ভোটের ফল বের হওয়ার পর, দুর্নীতিতে ডুবে নেই এমন কোনও দলের হাত ধরতে পারি আমরা।” তিনি জানিয়েছিলেন, গত পাঁচ বছরে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি বা এনপিপি ‘বড় মাপের দুর্নীতি’তে জড়িয়ে পড়েছিল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপির ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতি রয়েছে। এই কারণেই গেরুয়া শিবির তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বলে দাবি করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে এনপিপি-বিজেপি জোট সরকার গড়েছিল। তবে, আসন্ন নির্বাচনের আগে শাসক জোট ভেঙে গিয়েছে। বিজেপি-এনপিপি পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সম্পর্ক ছিন্ন করার পর থেকে এনপিপির বিরুদ্ধে লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে বিজেপি। মাওরি বলেছিলেন, “গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা একের পর এক আরটিআই আবেদনপত্র দাখিল করেছি। আমরা দেখেছি বর্তমান সরকারের অধীনে মেঘালয়ে কীভাবে ব্যাপক হারে দুর্নীতি চলছে। আমাদের কাছে সব রেকর্ড আছে।” ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভার সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। এনপিপি প্রার্থী দিয়েছিল ৫৬ আসনে।